খোলা বাজার২৪,শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬: আর মানুষের মতোই যদি হয়ে থাকেন, তবে আপনার আঙুলগুলো কিবোর্ডে ঝড় তোলে ঠিকই। তবে এটা উপভোগ্য নাকি দুর্ভোগ তা নির্ভর করে অনেক বিষয়ের ওপর। আপনার মানসিক চাপ, ক্ষুধা এবং কাজের চাপ সবই প্রভাববিস্তার করবে। আবার এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে, কিবোর্ডটি কি আপনার চাহিদা পূরণ করছে? বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার মনের মতো একটা কিবোর্ড চাই। কিন্তু বিষয়টা হয়তো আপনি নিজেই অনুধাবন করতে পারছেন না। ইন্ডাস্ট্রিয়াল কিবোর্ড নির্মাতারা তিনটি ভিন্ন ধরনের কিবোর্ডের ডিজাইন করতে চাইছেন। মাইক্রোসফটের হার্ডওয়্যার প্রজেক্ট ম্যানেজার রব বিংহাম সম্প্রতি তিন ধরনের কিবোর্ডে কথা তুলে ধরেছেন। এগুলো দ্য ট্রাভেল, দ্য স্ন্যাপ এবং দ্য ডিসকভারাবিলিটি।
১. দ্য ট্রাভেল : এর দ্বারা ঘোরাঘুরির কোনো বিষয় বোঝাচ্ছে না। বোর্ডের কি-তে চাপ প্রয়োগ করলে তা কতদূর পর্যন্ত নড়াচড়া করবে তা বোঝানো হচ্ছে। আধুনিক মসৃণ কিবোর্ডে হাত চালালে সামান্য নড়াচড়া ঘটে। কিন্তু আগের টাইপরাইটারের বিষয়টি ছিল অন্যরকম। প্রায় এক ইঞ্চির মতো সুইচগুলো নিচে নামতো এবং তারপর কাগজে অক্ষরগুলো ফুটে উঠতো। যিনি ডেস্কটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপে লিখছে তার আইপ্যাডে লিখে কখনোই ভালো লাগবে না। তাই যারা একটু বেশি চাপে লেখা এবং কিবোর্ডের ক্লিক ক্লিক আওয়াজ শুনতে অভ্যস্ত তাদের জন্য দ্য ট্রাভেল একটি মনের মতো কিবোর্ড।
২. দ্য স্ন্যাপ : এর দ্বারা বোঝায় একটি কি-তে চাপ দিতে কতটুকু শক্তির প্রয়োগ ঘটাতে হবে। টেলিভিশনের রিমোট যেমনভাবে কাজ করে। এতে চাপ দেওয়ামাত্র কাজ হয়ে যায়। অর্থাৎ স্ন্যাপ নাই বললেই চলে। কম্পিউটারের কিবোর্ডে শক্তিশালী স্ন্যাপের প্রয়োজন। এরা প্রথমে একটু বাধা দেয়, তারপর পতন ঘটে। এই সময়ক্ষেপনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্যে। কিবোর্ডে যত বেশি চাপ প্রয়োগ করতে হবে সময়টাও তত বেশি লাগবে।
৩. দ্য ডিসকভারাবিলিটি : এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি কি-তে আপনার আঙুল পৌঁছতে কতদূর আঙুল নিতে হবে। সুবিধার জন্যে কিবোর্ডের কি-গুলো কাছাকাছি থাকাটা জরুরি। এ ক্ষেত্রে ডেল কিবোর্ড, ম্যাকের কিবোর্ড ইত্যাদি স্রেফ ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেয়। একেক কিবোর্ডের এই দূরত্বে ভিন্নতা থাকলে লেখার সময় ভুলের পরিমাণ বেড় যাবে। তাই নিজের জন্যে সঠিক কিবোর্ড আবিষ্কার করতে হবে। আর তাতেই লেখালেখি করলে ভুলের পরিমাণ কম হবে। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার