Tue. Sep 16th, 2025
Advertisements

3খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬: সোনা চোরাচালানের মামলায় হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আরিফ উল্লাহ মুন্সীকে আদালতে এনেছিল পুলিশ, আদালত রিমান্ডের আদেশও দেয়, কিন্তু তার আগেই বেরিয়ে পড়ল ‘প্রমাণ’।
সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানায় টয়লেটে আরিফের মলের সঙ্গে চারটি সোনার বার বেরিয়ে আসে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিকালে ঘটনাটি ঘটার পর হাজতখানায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ‘আসামি সোনার ডিম পেড়েছে’ বলে হাস্যরসও করতেও দেখা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুর গ্রামের আরিফ মুন্সীকে (৩৬) রোববার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোনা চোরাচালানের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাও হয়।
ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোমবার আরিফ মুন্সীকে ঢাকার হাকিম আদালতে নিয়ে আসেন। অন্য আসামির মতোই তাকে রাখা হয় মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানায়।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করা হলে তিন দিন রিমান্ডের আদেশও হয় বলে জানান কোর্ট হাজতের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মুরাদ হোসেন।
তিনি বলেন, “হাজতখানায় সে মোড়ামুড়ি করছিল, পেটে ব্যথার কথাও বলে। তারপর সে টয়লেটে যায়। টয়লেট থেকে বেরিয়ে আসার পর তার প্যান্টের পকেটে চারটি সোনার বার পাওয়া যায়।”
হাজতে ঢোকানোর আগে আরিফ মুন্সীর কাছে সোনার বার ছিল না জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসা সোনার বার ধুয়ে পকেঠে ঢোকানোর কথা স্বীকার করেছেন আসামি।
এই চারটি বারের ৩৮ থেকে ৪০ ভরি সোনা রয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
হাজতখানায় সোনা উদ্ধারের ঘটনায় আরিফ মুন্সীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হচ্ছে কোতোয়ালি থানায়।