খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২০ জানুয়ারি ২০১৬ : নিজেদের বানানো অত্যাধুনিক ডিভাইসগুলোর মাধ্যমেই এক সময় মানব সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, সামনের ১শ’ বছরের মধ্যেই ঘটতে পারে এমন ঘটনা। আর এ আশংকা প্রকাশ করেছেন খ্যাতিমান পদার্থবিদ স্টিভেন হকিং।
বিবিসি আয়োজিত বার্ষিক রেডিও অনুষ্ঠান বিবিসি রিথ লেকচারস-এর চলতি বছরের পর্বে এক শ্রোতার প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবনধারা উন্নতি করতে আমাদের তাড়াহুড়া মানব সভ্যতার সর্বনাশের কারণ হতে পারে।”
মানব সভ্যতাকে বাঁচাতে অন্যান্য গ্রহে বসতি স্থাপনই একমাত্র উপায় হতে পারে বলে মত দেন তিনি। কিন্তু তা সঠিকভাবে করার আগেই বড় কোনো দুর্যোগের কবলে পড়ে আমরা পৃথিবীকে হারাতে পারি বলে সতর্ক করেন ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম’ খ্যাত এই গবেষক।
তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট করে হয়ত বলা সম্ভব নয় ঠিক কোন বছরে পৃথিবীতে এমন দুর্যোগ আসবে। তবে এই আশঙ্কা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কাছাকাছি নিশ্চিতভাবে বলতে গেলে হাজার বা দশ হাজার বছরের মধ্যে এটা হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের মহাশূন্যে আর অন্যান্য গ্রহে ছড়িয়ে পড়তে হবে, যাতে পৃথিবী দুর্যোগ আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানব সভ্যতা শেষ না হয়ে যায়। যাই হোক, অন্তত সামনের শত বছরের মধ্যে আমরা মহাশূন্যে স্বনির্ভর বসতি স্থাপন করব না, তাই এই সময়টা আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
ভবিষ্যতের সর্বনাশ নিয়ে এই অধ্যাপকের আশংকা এটিই প্রথম নয়। এর আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) রোবটগুলোকে আমরা আগেই নিষিদ্ধ না করলে, একসময় এগুলো আমাদের ধ্বংস করবে; আর একবার ভিনগ্রহের শত্রুরা আমাদের ধ্বংস করবে বলে সতর্ক করেছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, “এই পরিবর্তনগুলো যে ঠিক পথে আগাচ্ছে তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে, ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত সিদ্ধান্তগুলো জানতে বিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান থাকা প্রত্যেকের জন্য আবশ্যক।”
তিনি আরও বলেন, “ৃআর তাই, যখন আপনি বিজ্ঞানবিষয়ক কিছু করার চেষ্টা করবেন তখন অবশ্যই জানার চেষ্টা করুন এ বিষয়ে আর কে জানে। হয়ত এর ফলে আপনি নিজেই বিষয়টি ভালভাবে বুঝতে পারবেন।”
“আমরা কোনো উন্নতি বন্ধ করতে যাচ্ছি না, বা তা নষ্টও করতে যাচ্ছি না, তাই আমাদের অবশ্যই বিপদগুলো শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে”- পরামর্শ হকিংয়ের।