খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ : লিখতে গিয়ে কেমনজানি হাতটা কাঁপছে। তারপরও লিখছি। কিছু কিছু ফুল ফোটে সুরভী ছড়ায়। আর কিছু কিছু ফুল ফোটার আগেই ঝড়িয়ে পরে। সিলেটের রাজন, খুলনার রাকিব, বরগুনার রবিউল, নারায়ণগঞ্জের ত্বকীসহ আরো অসংখ্যৃ.. .. .. .. ফুল ফোটার আগেই ঝড়িয়ে পরছে। এসব ফুল ঝরে পরছে “প্রকৃত গণতন্ত্র” নামক পরিবেশ এ দেশে না থাকায়। সুধী মহল, আপনারা কি ভাববেন “প্রকৃত গণতন্ত্র” নামক পরিবেশ এ দেশে কে বা কোন দল নষ্ট করেছে। এর উত্তর আমরা পরেই খুঁজি। তার আগে একটু ২০১৫ সালে ঘটে যাওয়া অনেকগুলো ঘটনার মধ্যে কিছু সামাজিক অবক্ষয়মূলক ঘটনা জেনে নেওয়া যায়।
৩০ শে জুলাই ২০১৫ রাজধানীর উত্তরাই ‘স্বপ্নে’র বিক্রয়কর্মী এক তরুনী(১৭) রাত সাড়ে আটটার সময় কাজ শেষে বাসার উদ্দেশে রওনা হয়, তখন তার সহকর্মী আরিফসহ আরো দুইজন তাকে উঠিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী র্নিমাণাধীন এক বাসায় নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করে। তার আগে ঔ বছরের ২১ শে মে রাজধানীর কুড়িল এলাকায় উপজাতি এক গাড়ো বিক্রয়কর্মী তরুনী কাজ শেষে রাতে বাসায় ফেরার সময় পথের মধ্যে চার/পাঁচজন যুবক জোড় করে মাইক্রোবাসে তুলে মাইক্রোবাসের ভিতরেই প্রায় দুই ঘণ্টাধরে পালাক্রমে ধর্ষন করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায় (পরবর্তীতে লাভলু ও তুষার নামক দুই ধর্ষক কে গ্রেফতার করা হয়)।
মাদারপিুরে দুই ছাত্রী সুমাইয়া আকÍার ও হ্যাপি আক্তারকে কয়েক বখাটে যুবক ধর্ষণ করে পরে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। সামাজিক অবক্ষয় তথা ধর্ষণের এ চিত্র থেকে শিক্ষিত মেয়েরাও বাদ নেই। ১৪ ই আগস্ট ২০১৫ সদ্য এইচ এস সি পাশ করা জামালপুরের এক মেয়ে ভর্তি কোচিং করার জন্য ঢাকায় আসলে তার এলাকার তেজগাঁ কলেজে অর্নাচ পড়–য়া বড় ভাই নাস্তা করানোর নামে বিকেলে হল থেকে ডেকে নিয়ে মগবাজারের এক হোটেলের তিন তলায় দুই জন (অন্য আরো একজনসহ)মিলে ধর্ষণ করে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে দেয়।
সামাজিক অবক্ষয়ে আরো দেখা যায় ২৩ শে জুলাই ২০১৫ মাগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষের কারনে গোলাগুলির সময়ে গর্ভবর্তী নাজমা বেগম তার বাড়ীতে বাড়ান্দায় ছিলেন, এমন সময় ছাত্রলীগ ঘাতকের ছোড়া একটি গুলি এসে তার জঠর ভেদ করে। সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে গেলে একটি বেবীর জন্ম হয় কিন্তু অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে সবার দোয়ায় ১৪ দিন পর মায়ের কোলে হাসে শিশুটি।
তাছাড়াও ৩ রা আগস্ট ২০১৫ রাত ১০ টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্্্্্øায় মাহমুদপুর এলাকায় ফিল্মি কায়দায় যাত্রীবাহী চলন্ত বাসের সামনে বোমা ফাটিয়ে পথ রোধ করে ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে (৪৫) বাসের যাত্রীদের সামনে গুলি করে হত্যা করে ব্যাগভর্তি টাকা লুটে নিয়ে চলে যায় ,পুলিশ কিছুই করতে পারে নি।
উপরে উল্লেখিত ২০১৫ সালের সামাজিক অবক্ষয়ের অনেকগুলো ঘটনার মধ্যে কয়েকটি বিবরন দেওয়া হলো। তাতে কি দেখা গেল ঘরে-বাহিরে কেউ নিরাপদে নেই, এমন কি মায়ের গর্ভে শিশুও নিরাপদে নেই।
এক পরিসংখ্যনে জানা গেছে ২০১৫-র জুলাই মাসে ৫৮ জন নারী ও শিশু (২১জন নারী,৩৭ জন শিশু) ধর্ষণের শিকার হয়। এর মধ্যে কয়েকজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের তথ্য মতে-২০১৫ সালের জানুয়ারীতে ৩৩টি, ফেব্রুয়ারীতে ৪৪টি, মার্চে ৪১টি, এপ্রিলে ৪৩টি, মে তে ৮২ টি, জুনে ৬৫ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন র্মোচা শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য মতে, শিশু ধর্ষণের ও নির্যাতনের সংখ্যা ২০১২ তে ৮৬ ও ২০৯ জন, ২০১৩ তে ১৮৩ ও ২১৮ জন, ২০১৪ তে ২২৭ ও ৩৫০ জন এবং ২০১৫ জুন পর্যন্ত ৬৫ ও ১৯১ জন। পত্রিকার রির্পোট মতে, জেলাগুরোর মধ্যে একটি জেলার পরিসংখ্যন দিলে অন্যান্য জেলার ধারনা পাওয়া যাবে। ২০১৫ সালের জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর পর্যনÍ নেত্রকোনা জেলায় ৬৩ জন খুন, ১১৮ জন ধর্ষণ, ২৮৬ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার এ তথ্যগুলো শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে পাওয়া গেয়াছে। এর বাহিরে এ সংখ্যা আরো আছে এবং প্রতিনিয়ত ঘটেই চলছে। সামাজিক অবক্ষয় আরো একটু দেখে নেওয়া যায়Ñ২০১৩ সালে অপহরণের র্শীষ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৬ তম, আর ২০১৪ তে এসে হয়েছে সপ্তম (০৭)। উপরে উল্লেখিত চিত্রগুলো হঠাৎ হয় নি। ‘প্রকৃত গণতনত্র’ না থাকায় আর অইনের শাসনের বা প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ায় ধীরে ধীরে ঐসবের ধারাবাহিকতা বেড়েই চলছে। কেননা বর্তমান অ’লীগ সরকার তাদের প্রথম মেয়াদের সময় (১৯৯৬-২০০১) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের এক ছেলে ধর্ষণে সেঞ্চুরী করেছিল এবং তা ওপেনে বলেছিল। ছেলেটি এমন দুঃসাহস দেখালেও আ‘লীগ ক্ষমতায় থেকেও নিজের দলের ছেলে বলে কোনো বিচার করে নি। আবার এই সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে (২০০৯-২০১৩) এক হত্যা মামলায় নাটোরে একাধিকজনকে আদালত ফাঁসির আদেশ দিলে সাবেক রাসট্রপতি জিল্লুর রহমান সাধারন ক্ষমা করে নিজেদের দলের লোক হওয়ায়। এসবের কারনে এই দলের লোকজনের সাহস এতই বেড়ে য়ায় উদাহরণ স্বরপ দুই/ একটা ঘটনা উল্লেখ করা যায়-২০১২ সালের ০৯ ডিসেম্বরে বিরোধীদলের অবরোধ চলাকালে বাহাদুরশাহ পার্কের কাছে জগন্ন্াথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সাধারণ অরাজনৈতিক ছেলে বিশ্বজিৎকে পুলিশের প্রায় পাশেই দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে ধাওয়া করে কোপাতে থাকে এবং টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় রক্তাক্ত ছেলেটি জীবন বাঁচাতে পাশে দোতলার একটি দোকানে আশ্রয় নেয় ও এক পর্যাযে বলে ভাই আমাকে জানে মারেন না, আমি রাজনীতি করি না। আমি সাধারন ছেলে কিন্তু তারপরেও ছাত্রলীগের ছেলেরা বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে।
আবার ২০১৪ সালের ২৭ শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি র্কপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণ ও পরে হত্যা করে লাশে ইট পেচিয়ে নদীতে ফেলে রাখে সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ তার সহযোগীরা। তাছাড়া মহিলা আ‘লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার অলম রনি ২০১৫ সালের ১৩ ই এপ্রিল নিউ ইস্কাটন এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ী থেকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে সাংবাদিকসহ দুইজনকে হত্যা করে। এসব ঘটনা ঘটছে মূলত:এই সরকার আগের ঘটনাগুলোর বিচার না করার জন্য । সেই ধারাবাহিকতায় এসব ঘটনারো বিচার এই সরকার না কয়ায় সম্প্রতি (জানুয়ারী ২০১৬) নারায়ণগঞ্জে আবারও পাঁচ খুনের ঘটনা ঘটলো। এসব বিষয় পেক্ষিতে মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন-‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি’র কারনে দেশে নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাকা- বেড়েছে। জাতীয় মানবাধিকারের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন-‘আইনের শাসনের দুর্বলতাই হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের কারন’। আইনের শাসন দূর্বল মূলতঃ দেশে ’প্রকৃত গণতান্ত্রিক’ পরিবেশ না থাকায়। কেননা সাংবাদিকসহ দেশের আপামর জনসাধারন মিডিয়ার কল্যানে দেখেছেন ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন কিভাবে হয়েছে। এই নির্বাচনে গণতন্ত্রের কোনো নমুনা কি পাওয়া গিয়াছে, যাদের ভোট হয়নি সেইসব নাবালকরাও একাধিকবার জালিয়াতি ভোট দিয়েছে এবং ১৫৩ জন সংসদ সদস্য আন্কন্টেস্টটেড নির্বাচিত হয়েছে-যা সারা বিশ্বে নজীরবিহীন ঘটনা। তাহলে এখানে প্রকৃত গণতন্ত্র কোথায় ? দেশের বেশিরভাগ জনগন বলছে-বর্তমান আ‘লীগ সরকার জনগনের ভোটের “প্রকৃত গণতান্ত্রিক” শক্তির উপর নয়, পুলিশ-প্রশাসনের বন্দুকের নলের উপর টিকে আছে। কেননা, গত ২০১৫ সালের জানুয়ারী থেকে র্মাচ পর্যন্ত জনগনের স্বচ্ছ ভোটের অধিকার আদায়ের লক্ষে ২০-দলীয় জোট অন্দোলনের ঘোষনা দিলে সরকারের ক্ষমতা যখন যায় যায় ভাব, তখন সরকার প্রধান পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন যে “যে কোনো ্উপায়ে দমন করুন, দায় আমার।” যদিও পুলিশ-প্রশাসনের র্শীষ কর্মকর্তারা বেশিরভাগ একটা র্নিদিষ্ট অঞ্চলের। সরকার প্রধানের এমন আদেশ পেয়ে র্যাব-পুলিশ-প্রশাসন ২০-দলীয় জোটের কর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে, নয়তো পঙ্গু করে দিয়েছে। এসব দেখে-পড়ে-শুনে ভয়ে জনগন একেবারে চুপ। কেউ টু শব্দ পর্যন্ত করে না। সভা-সমাবেশ-প্রতিবাদও করা যায় না, তাহলে মামলা-হামলা হয়। সভা-সমাবেশ-প্রতিবাদ করার যদি অধিকার কোন দলের ও জনসাধারনের না থাকে তাহলে গণতন্ত্র আজ কোথায় ? দেশের লোকজন তো ভাবছে সরকার যেহেতু জনগনের আকাঙ্খিত গণতান্ত্রিক শক্তির উপর নির্ভরশীল না হয়ে পুলিশ-প্রশাসনের উপর নির্ভর করে টিকে আছে তাই এই আ‘লীগ সরকার যেভাবে বি এন পি তথা ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের মুখ খোলার সাথে সাথে হামলা-মামলা নয়তো অপহরন-গুম বা পুলিপ্রশাসন দিয়ে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করে নিচ্ছে বা হাঠুতে নয়তো অন্যান্য অক্স্গ-প্রত্যাঙ্গে গুলি করে চিরতরে পঙ্গু করে দিচ্ছে, সেভাবে সাধারন লোকজন বা দলীয় লোকজন অপরাধ করলেও সরকার পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে সাধারন লোকজনের উপর বা দলীয় লোকজনের উপর ঔ রকম চড়াও হতে পারবে না। কেননা, সরকারের ভয় একটাই সরকারের বা সরকারী দলের লোকজনের অপরাধ বা ইস্যুর অভাব নেই, যে কোনো একটি ইস্যু নিয়ে জনগন যদি বি এন পি‘র সাথে (এক জরিপে দেখা গিয়াছে ৯৫% জনমতামত বি এন পি‘র পক্ষে)একাত্মতা করে বা আলাদাভাবে আন্দোলনে মাঠে নামে তাহলে সরকার আর কিছুতেই একদিনও ক্ষমতায় থকতে পারবে না বরঞ্চ সরকার জনগনকে চুপ রাখার জন্যই সরকারী চাকুরীজীবিদের বেতন ডাবল বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। আর এইসব অকাঙ্খা থেকেই এরই মাঝে দেশের কিছ কিছুু উশৃঙখল লোকজন দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা অব্যহতভাবে করেই চলছে-থামানো যাচ্ছে না (সম্প্রতি জানুয়ারী ২০১৬-তে নারায়ণগঞ্জের পাঁচ খুন)। অথচ সরকার ২০১৫ সালের জানুয়ারী থেকে র্মাচ পর্যন্ত বি এন পি’র জনগণের ভোটের অধিকারের যৌক্তিক আন্দোলনকে থামানোর জন্য সব দায় নিজেদের কাঁধে নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে ক্রসফায়ারের নামে তাদের উপর গুলি চালিয়ে নতুন নতুন গল্প সাজিয়ে হত্যা করেছে বা চিরতরে পঙ্গু করে দিয়েছে, সেহেতু সরকার ইচ্ছে করলেই এইসব নির্যাতন, ধর্ষণ-হত্যাকারীদের পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে ধরে এনে দ্রুত বিচার করতে পারে বা ক্রসফায়ার করে নিতে পারে, কেননা আন্দোলনের সময় সরকার প্রশাসন যন্ত্র দিয়ে বিরোধীদলের কর্মীদের সন্ত্রাসী বলে মিথ্যা প্রচার করে গুলি করে হত্যা করে নিয়েছে বিনা বিচারে। তাই ঔসব নির্যাতনকারী, ধর্ষণকারী-হত্যাকারীদেরও সরকার ঔসব করে নিতে পারে। তবে সাধারন জনগন ও সুধীমহল ভাবছে-যেহেতু সরকার ‘প্রকৃত গণতান্ত্রিক’ শক্তির ্উপর নেই, তাই টিকে থাকার জন্য ্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্ঔসব করবে না। ফলে সামাজিক অবক্ষয় তথা নির্যাতন, ধর্ষণ-হত্যা থামানো যাচ্ছে না, চলছে তো অব্যহতভাবে চলছ্্্্্্্্েই.. .. .. .. আর জনসাধারন, সুধীমহল তথা দেশী-বিদেশীরা সবাই ভাবছে ‘প্রকৃত গণতন্ত্র’ ফিরে না আসা পর্যন্ত র্অথাৎ ‘প্রকৃত গণতন্ত্র’ না থাকলেযা হয়।এমনি তো হবেই, হতেই থাকবে.. .. .. .. .. .. ।
লেখক: কবি ও কলামিস্ট।