Tue. Sep 16th, 2025
Advertisements

8খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সিএনজি স্টেশনগুলোতেও। সিএনজি অটোরিকশার দীর্ঘ লাইন লেগে আছে প্রতিটি স্টেশনে। লাইনে চাপ না থাকায় সরবরাহ করা যাচ্ছে না গ্যাস। ভোগান্তিতে পরছে যাত্রী সহ সাধারণ মানুষ।
রাজধানীর তেজগাঁওসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে সিএনজি অটোরিকশা। সিএনজি চালিত গাড়ির লাইনও লেগে আছে। কিন্তু গ্যাস সরবরাহ বন্ধ। কবে গ্যাস নিতে পারবেন তা জানেন না কেউ।
সিএনজি স্টেশনের কর্মীরা জানান, লাইনে গ্যাসের কোনো চাপই নেই। গ্যাস এতে সরবরাহ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। রাত ১২টার পর লাইনে কিছুটা চাপ দেখা দেয়, তখন গ্যাস ভরা যায়। তবে সকাল থেকে নিয়ে সারা দিনই লাইনে কোনো চাপ থাকে না। সিএনজি কর্মীরা জানান, এই অবস্থা চলছে সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। কবে এই সমস্যা কাটবে তা কেউ জানে না।
মহাখালীতে অটোরিকশা চালক জাহিদ জানান, কয়েকটি স্টেশন ঘুরে এখানে এসেছেন; দীর্ঘ সারি শেষে কখন গ্যাস মিলবে বা মিলবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ তার মনে। জ্বালানি সংগ্রহ করতে না পারলে খিলগাঁওয়ে নিজের গ্যারেজে কিভাবে ফিরবেন, সেই দুশ্চিন্তাও রয়েছে তার।
বাখরাবাদ-সিদ্ধিরগঞ্জ গ্যাস পাইপলাইনের সংস্কার কাজ শেষ হওয়ায় বুধবার সকালের মধ্যে রাজধানীতে চলমান গ্যাস সংকটের নিরসন হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিতাস গ্যাস লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স) শাহজাহান। কিন্তু বুধবার সকালেও দেখা গেছে একই দৃশ্য। কার্যত গ্যাস সংকট এখনও কাটেনি।
গত তিন/চার দিন ধরে রাজধানীসহ সারাদেশে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকায় চুলায় আগুন ধরানো যাচ্ছে না। অনেক এলাকায় চুলা জ্বলছে মিটমিট করে। বিশেষ করে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। এই সংকটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি আবাসিক গ্রাহকদের।
তিতাস গ্যাস কোম্পানির পরিচালক (উৎপাদন) মীর মশিউর রহমান সমস্যার বিষয় স্বীকার করে বলেন, সংস্কার কাজের জন্য এক হাজার ৮০০ থেকে প্রায় দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে পেট্রোবাংলা থেকে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে সার্বোচ্চ এক হাজার সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। তবে মঙ্গলবার রাতে বাখরাবাদ-সিদ্ধিরগঞ্জ গ্যাস পাইপলাইনের সংস্কার কাজ শেষ হওয়ায় এ সংকটের অবসান হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।