Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

15খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬: ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মরতদের ‘সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে মাইক্রোসফট। তাঁদের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির বলেন, মাইক্রোসফটের উদ্যোগের মাধ্যমে মূলত উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল সক্ষমতা বাড়ানো হবে। দেশব্যাপী ৫ হাজার ২৭৩টি ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তাদের উইন্ডোজ ১০, অফিস ৩৬৫ সহ বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ জানুয়ারি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসএসএফ ব্রিফিং রুমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি সই করেন এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার ও মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোসফটের সাউথইস্ট এশিয়া নিউমার্কেটস বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মিশেল সিমন্স। চুক্তির আওতায় দেশব্যাপী ৫ হাজার ২৭৩টি ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তাদের কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে ডিজিটাল সেন্টারগুলোর সরাসরি সার্ভিস সেন্টারের সেবা দেবেন তাঁরা।
অনুষ্ঠানে কবির বিন আনোয়ার বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন এবং প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নারী এবং পুরুষ উদ্যোক্তার অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। নারী উদ্যোক্তা থাকায় গ্রামাঞ্চলে নারীদের সেবার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেন্টারের নারীদের মাইক্রোসফটের এ প্রশিক্ষণ তাঁদের আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে।
সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ দেশের ডিজিটাল সেন্টারের ৫ হাজার ২০০ জন নারীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশের নারীদের প্রযুক্তিতে যুক্ত করার ব্যাপারে অনেক বেশি আশাবাদী। এই খাতে নারীদের চাকরি করার যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি পেশাগত জীবনে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি।’
ডিজিটাল সেন্টার হলো ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডে স্থাপিত তথ্য প্রযুক্তি-নির্ভর সেবাকেন্দ্র। অনলাইন নিবন্ধন, জমির পর্চা, সরকারি ফরম পূরণ, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, অনলাইনে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ই-মেইল, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ডিজিটাল সেন্টারে ৫ হাজার ২৭৩ জন গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থান হয়েছে।
সোনিয়া বলেন, এদের মধ্যে ১১টি সিটি করপোরেশনের ৪০০ জন এবং ১৫টি জেলা থেকে ১ হাজার ৫০০ জন নারী উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে মাইক্রোসফট। এ বছর মোট ৫ হাজার ২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেবে মাইক্রোসফট। গত বছরের মার্চে ‘উইন্ডোজ উইমেন’ শীর্ষক একটি উদ্যোগ নেয় মাইক্রোসফট বাংলাদেশ। এর আওতায় কয়েকজন উদ্যোক্তাকে মাইক্রোসফট ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করে। এ ছাড়া ৬৪টি জেলা সরকারি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী, ৩৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থী, ‘ইয়ং বাংলা’ প্রকল্প থেকে নারী উদ্যোক্তা, ১১টি সিটি করপোরেশন ও ১৫টি জেলার মোট ১ হাজার ৯০০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দেয় মাইক্রোসফট। প্রশিক্ষণে মাইক্রোসফটের পণ্য উইন্ডোজ ১০ ও অফিস ৩৬৫ বিষয় শেখানো হয়। পরে তাঁদের মাইক্রোসফট ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানানো হয়। তাঁরা মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহার করার সুযোগ পান। মাইক্রোসফটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আসল সফটওয়্যার ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে পরামর্শ দিতে ও পাইরেসির বিরুদ্ধে বলতে কাজ করবেন তাঁরা। এ বছরে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীদের এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।