Tue. Sep 16th, 2025
Advertisements

4খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ : মার্কিন বেসরকারি সংস্থা ফ্রিডম হাউস বিশ্বের স্বাধীনতা পরিস্থিতি নিয়ে ‘ফ্রিডম ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড ২০১৬’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে গত ২০১৫ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরিস্থিতির গতিধারা নিম্নমুখী ছিল বলে তারা দাবি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে তিক্ত মুখোমুখি অবস্থান অব্যাহত রাখে। গেল বছর বাংলাদেশে উগ্রপন্থি সন্ত্রাসীদের হাতে কয়েকটি ধারাবাহিক হাইপ্রোফাইল খুনের ঘটনা, সমালোচনামূলক সাংবাদিকদের ওপর ক্রমবর্ধমান বিধিনিষেধ আরোপ এবং মিডিয়া কন্টেন্ট-এর ওপর সেন্সরশিপের ফলে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল নিম্নমুখী।
মার্কিন সময় গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফ্রিডম হাউসের ২০১৬ সালের এ প্রতিবেদনে দেশভিত্তিক বিস্তারিত পর্যালোচনা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। ওভারভিউ প্রতিবেদনে এবং সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ অংশে এসব কথা বলা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৫ সালে বিশ্ববাসীর স্বাধীনতা আরও সংকুচিত হয়েছে। এ নিয়ে ১০ বছর ধরে বিশ্বে একটানা ধারাবাহিকভাবে স্বাধীনতা সূচক নিম্নগামী থাকলো। কারণ হিসেবে সংকট সমাধানে বৈশ্বিক বিভক্তি, অভিবাসন ও শরণার্থী সমস্যা সমাধানে ইউরোপের বিভক্তি এবং চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার ঘটনাকে চিহ্নিত করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষ মুক্ত রাষ্ট্র (ফ্রি স্টেট) সীমানায় বসবাস করেছে, ৩৬ শতাংশ মানুষ ‘মুক্ত নয় (নট ফ্রি)’ এমন রাষ্ট্রে এবং ২৪ শতাংশ মানুষ ‘আংশিক মুক্ত (পার্টলি ফ্রি)’ রাষ্ট্রসীমানায় বাস করেছে।
এছাড়া প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গেল বছর মুক্ত রাষ্ট্রের সংখ্যা এর আগেরবারের চেয়ে তিনটি কমেছে। মুক্ত রাষ্ট্র থেকে ২০১৫ সালে আংশিক মুক্ত রাষ্ট্রে পরিণত ওই তিনটি দেশ হলো ডোমিনিকান রিপাবলিক, লেসোথো ও মন্টিনেগ্রো। অপরদিকে মুক্ত নয় (নট ফ্রি) রাষ্ট্রের সংখ্যা এর আগেরবারের চেয়ে একটি কমে দেশটি আংশিক মুক্ত বা পার্টলি ফ্রি রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করেছে এবং সে দেশটি হলো জিম্বাবুয়ে।
উল্লেখ্য, মার্কিন সরকারের অর্থে পরিচালিত সংস্থাটি ১৯৪১ সালে থেকে ফ্রিডম অফ দ্য ওয়ার্ল্ড নামে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ শুরু করে। এরপর ১৯৭২ সাল থেকে সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে আসছে।