Mon. Sep 15th, 2025
Advertisements

27খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ : প্রিয় আলমাস,
আজ আমি সেন্ট মারিস কলেজ ছাড়ছি। তাই আহত বোধ করছি। শাখার আঘাতে নয়, তোমার দীপ্ত সৌন্দর্যে। নিশ্চয়ই তুমি এমন বার্তা সব সময় পাও। তুমি যে মনোহর।’
কেউ একজন এই চিঠিটি লিখেছে। প্রিয়তমার কাছে নয়, সবুজ পাতার দেবদারুজাতীয় গাছের কাছে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মানুষ ও গাছের মধ্যে এমন হাজারো চিঠি বিনিময় হয়।
২০১৩ সালে নগর কর্তৃপক্ষ গাছকে আইডি নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস দিয়েছে। উদ্দেশ্য—লোকজন যাতে সমস্যার কথা সহজে কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে। কিন্তু দেখা গেছে, ওই ই-মেইলে নগরবাসী তাদের প্রিয় গাছের কাছে প্রেমপত্র লিখছে।
মেলবোর্নের এনভায়রনমেন্ট পোর্টফোলিওর চেয়ারম্যান কাউন্সিলর অ্যারন উড বলেন, উদ্যোগের ফলাফল হয়েছে বেশ ইতিবাচক। ই-মেইল বিশ্লেষণে যায়, মেলবোর্নের বাসিন্দাদের মধ্যে গাছের জন্য ভালোবাসা আছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ই-মেইলে মানুষ শুধু সমস্যার কথাই জানাচ্ছে না। তার বাইরেও তারা অনেক কিছু লিখছে।
প্রেরকের নাম গোপন রেখে বেশ কিছু ই-মেইল প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে দেখা যায়, কেউ গাছের প্রতি তার ভালোবাসা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে। অক্সিজেন দেওয়ার জন্য কেউ গাছের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। সৌন্দর্যের জন্য কেউ গাছকে ধন্যবাদ দিয়েছে। কেউ গাছের কাছে নিজের অনুভূতি কথা বলেছে। কেউ গাছের কুশল জানতে চেয়েছে, কেউ জানিয়েছে শুভকামনা। এ রকম হরেক বিষয় চিঠিতে উঠে এসেছে।
মজার বিষয় হলো—গাছের কাছে লেখা ই-মেইলের কোনো কোনো প্রেরক জবাবও পেয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের উদ্যোগ শহর ব্যবস্থাপনায় নাগরিকদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করে। এ ছাড়া শহরের সঙ্গে নাগরিকের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একটা ভূমিকা রাখে। রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে