খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বনাম ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল। উভয় প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে স্বমহিমায় উজ্জ্বল। কিন্তু আপনার যদি উভয় প্রতিষ্ঠানেই চাকরি করার সুযোগ আসে তাহলে আপনি কোনটিকে বেছে নেবেন? এ প্রসঙ্গে অধিকাংশেরই মতামত হলো, ফেসবুকের কাজের পরিবেশ গুগলের তুলনায় ভালো। আর তাই ফেসবুককেই বেছে নেওয়া উচিত। এ লেখায় রয়েছে সে বিষয়ে আটটি কারণ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. ফেসবুক সুখী গুগলের তুলনায় ফেসবুকের কর্মীরা সুখী। এ কারণে আপনার যদি সুখের প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে ফেসবুককেই বেছে নিন। জরিপে দেখা গেছে, ফেসবুকের কর্মীরা ৯৩ শতাংশ সুখী হলেও গুগলের কর্মীরা ৮৪ শতাংশ সুখী। এ জরিপটি করেছে পেস্কেল সার্ভে। এ বিষয়ে জরিপ করতে উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরই মতামত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
২. তারা স্বাধীনতা পায় ফেসবুকের কর্মীরা গুগলের কর্মীদের তুলনায় বেশি স্বাধীনতা পায়। কর্মীদের মত হলো, ফেসবুক তাদের বেশি বিশ্বাস করে। অন্যদিকে গুগলের ক্ষেত্রে এ বিশ্বাসের মাত্রা কম। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্যমতে, গুগলে কর্মীদের স্বাধীনতা না দিয়ে তার বদলে ম্যানেজারদের গুরুত্ব দেওয়া হয়।
৩. বেশি অর্থ ফেসবুকের কর্মীরা শুধু যে ভালো কাজের পরিবেশ পায় তা-ই নয়, তারা ভালো বেতনও পায়। এ কারণে কর্মীদের চাকরি বিষয়ে সন্তুষ্টি বেশি থাকে। অন্যদিকে গুগলের কর্মীরা ভালো বেতন পেলেও তা ফেসবুকের কর্মীদের তুলনায় কম। ফেসবুকের কর্মীদের বার্ষিক গড় বেতন এক লাখ ৩৫ হাজার ডলার হলেও গুগলের কর্মীদের গড় বেতন এক লাখ ৩৩ হাজার ডলার।
৪. তাদের মানসিক চাপ কম গুগলের কর্মীদের তুলনায় ফেসবুকের কর্মীদের মানসিক চাপ কম থাকে। আপনার যদি চাপমুক্তভাবে কাজ করার ইচ্ছে থাকে তাহলে ফেসবুককেই বেছে নিতে পারেন। কারণ জরিপে দেখা গেছে, ফেসবুক কর্মীদের ১১ শতাংশ মনে করে তাদের কাজটি কম চাপের। অন্যদিকে গুগলের ৯ শতাংশ কর্মীর এ ধারণা রয়েছে।
৫. অর্থপূর্ণ কাজ কর্মী হিসেবে ফেসবুক আপনাকে অনেক অর্থপূর্ণ কাজ করতে দেবে। অন্যদিকে গুগল এ কাজে কিছুটা পিছিয়ে আছে। ফেসবুকের কর্মীদের কাজটি অর্থপূর্ণ কি না, তা জিজ্ঞাসা করার পর দেখা গেছে ৮১ শতাংশ কর্মী হ্যাঁবাচক উত্তর দিয়েছে। অন্যদিকে গুগলের ৬৭ শতাংশ কর্মী অর্থপূর্ণ কাজ করে বলে মনে করেন।
৬. নিয়োগদান প্রক্রিয়া সহজ ফেসবুক কর্মীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া গুগলের তুলনায় সহজ। গুগলের একজন কর্মীকে নিয়োগ দিতে ছয় সপ্তাহ সময় ব্যয় করা হয়। আর যারা উভয় প্রতিষ্ঠানেরই এ নিয়োগদান প্রক্রিয়া দেখেছেন, তাদের মতামত হলো, গুগলের তুলনায় ফেসবুকের নিয়োগদান প্রক্রিয়া সহজ।
৭. ছোট টিমে বড় সুযোগ গুগলের তুলনায় ফেসবুকে টিম ছোট। গুগলে রয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার কর্মীর বাহিনী। সে তুলনায় ফেসবুকের টিমের ১০ হাজার কর্মী নেহাতই কম বলেই মনে হবে। কিন্তু ছোট টিম থাকার অর্থ হলো বেশি সুযোগ সুবিধা ও ভবিষ্যৎ উন্নতির সম্ভাবনা।
৮. ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ফেসবুক কর্মীরা অন্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি সুযোগ-সুবিধা পায়। মাতৃত্ব বা পিতৃত্বকালীন ছুটির ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানটি অনুকরণীয়। ফেসবুকের কর্মীরা তাদের শুক্রাণু ফ্রিজিং করার জন্য ২০ হাজার ডলার পায়। এছাড়া কারো সন্তান জন্ম হলে তারা চার হাজার ডলার প্রণোদনাও পেয়ে থাকে। ফেসবুক সন্তানের পিতা ও মার জন্য চার মাস ছুটি মঞ্জুর করে পাশাপাশি তারা এ সময় পূর্ণ বেতনও পান। অন্যদিকে গুগল সন্তান জন্মদানে পূর্ণ বেতনে ১৮ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও পিতা পূর্ণ বেতনে ১২ সপ্তাহের পিতৃত্বকালীন ছুটি পান।