খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: চাঁদে হাঁটার ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটছেন। আসলে নভোচারীরা স্বাভাবিকভাবেই হাঁটেন কিন্তু চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ বল পৃথিবীর চেয়ে কম হওয়ায় মানুষ এক পদক্ষেপেই লাফানোর মতো দূরত্বে যেতে পারে। এবার পৃথিবীতেও এভাবে হাঁটা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা এমন এক জুতার কথা জানিয়েছেন যা পরে চাঁদে লাফিয়ে হাঁটার মতোই অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। গবেষকরা বলেন, ১৮৩ কেজি বা এর কম ওজনের মানুষ মুনওয়াকার পরে চাঁদে হাঁটার স্বাদ পাবেন। এর বেশি ওজন হলে চুম্বকশক্তির বাধাকে হারিয়ে দেবে মাধ্যাকর্ষণ বল।
গবেষকরা জানিয়েছেন, গবেষণাধীন এই জুতার নাম দেয়া হয়েছে ‘২০:১৬ মুনওয়াকার’। এটি তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে শক্তিশালী চুম্বক যা মানুষের শরীরকে বেশ হালকা করে দেয়।
মুনওয়াকারের নকশা করেছেন মার্কিন প্রকৌশলী প্যাট্রিক জেরিজিরি। তিনি বলেন, এন৪৫ নিওডায়নামিয়াম চুম্বক ব্যবহার করা হয়েছে। এন৪০, ৪২ ও ৪৫ চুম্বকের শক্তির মাত্রা এগুলো তৈরির উপাদানের ওপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে এসব চুম্বক তৈরিতে নিউডাইমিয়াম, লোহা, বোরন ব্যবহার হয়।
মুনওয়াকার জুতার তলায় ১২-১৩টি চুম্বক একপাশ করে লাগানো হয়। তলার অপর স্তরে আরও ১২-১৩টি চুম্বক লাগানো হয়। এসব চুম্বকের ব্যাস হয় আড়াই থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার। প্রতিটি পাঁচ সেন্টিমিটার চুম্বক ১২ কেজি পর্যন্ত ওজন সরাতে সক্ষম। আর আড়াই সেন্টিমিটার চুম্বক ২৪ কেজি পর্যন্ত ওজন সরাতে পারে।
প্রকৌশলী প্যাট্রিক জেরিজিরি বলেন, মুনওয়াকার জুতা পরলে মনে হবে শরীরের ওজন কমে গেছে। নিজেকে অনেক হালকা মনে হবে তার। পা ফেলে সামনে আগাতে গেলে অনেক দূরে সরে যাবে সে।