খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: কেউ কি ভাবতে পারেন এই চার বোনের অবস্থান আজ কোথায় হতে পারে ? জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এই চার মেয়েকে বড় করতে গিয়ে প্রতিবেশিদের কাছ থেকে তাদের বাবা মায়ের কতইনা টিটকারি সহ্য করতে হয়েছে। এই মেয়েগুলোকে ‘অপয়া’ বলতেও দ্বিধা করে নি তারা। এই মেয়েগুলোর ব্যাপারে অন্যদের প্রতিক্রিয়া এমন ছিল যে তারা কেবলই পরিবারের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু চট্টগ্রামের পটিয়ার প্রতিবন্ধী এই চার বোন তাদের দৃষ্টিহীনতার কাছে নতিস্বীকার না করে লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে ছিল দৃঢ় প্রত্যয়ী।
যেদেশে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য সুযোগ সুবিধা নিতান্তই অপ্রতুল সেখানে উম্মে হাবিবা চৌধুরী আইন বিভাগে এবং উম্মে তাসলিমা চৌধুরি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। আর উম্মে তানজিলা চৌধুরী ও উম্মে সেলিনা চৌধুরী উভয়ে বর্তমানে সমাজবিজ্ঞানে ¯œাতকোত্তর শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে। এরা সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এরইমধ্যে এই চারবোনের তিনজন আবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যোগদান করে সুনামের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। যেসন্তানদের ব্যাপারে এক সময় কত টিটকারি, কত অপবাদ শোনতে হতো সেই সন্তানদের অভিভাবকরা আজ জোরগলায় বলার দাবী রাখে কোন প্রতিবন্ধকতাই তাদের সন্তানদের গতি রোধ করতে পারবে না। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে তারা অপ্রতিরোধ্য।
প্রবাদে যেমনটি রয়েছে ‘‘ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়’’, সম্ভব দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই চারবোনই আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিচ্ছে। পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ গবিন্দরহিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাসলিমা বলেন, একজন প্রতিবন্ধীও সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে যাদি তারা লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়।