খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বর্তমান বাংলাদেশ পশ্চিম পাকিস্থানের অধীনে যায় এবং তাদের দ্বারা শাসিত, শোষিত ও বঞ্চিত হতে থাকে। সেই সাথে বর্তমান বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্থান থেকে এর প্রতিবাদও অব্যহত থাকে। ফলে ১৯৫২, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭০ এবং ১৯৭১ সাল পাকিস্থানের আমলে বাংলাদেশীদের জন্য ইতিহাস বা স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৭০ এর নির্বাচনে আ’লীগ জয়লাভ করলেও পশ্চিম পাকিস্থানীরা অ’লীগ তথা শেখ মুজিবরের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করে। শেখ মুজিবরও পাকিস্থানের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হওয়ার জন্য ভিতরে ভিতরে তাদের সাথে দেনদরবার করতে থাকে। এমনি সময়ে ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে পশ্চিম পাকিস্থানীরা শেখ মুজিবর রহমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং হানাদার বাহিনীরা এ দেশে সেই রাতে ধ্বংস যজ্ঞ চালায়। অন্যান্য অ’লীগ নেতারা তখন গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকে বা কেউ পালিয়ে ভারতে যায়। ঠিক সে সময় জাতির আকাশে অমানিশার আধার ভাসে। কি করবে বা কি হবে জাতি বুঝতে পারছিল না। মেজর জিয়াউর রহমান তখন ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দিলেন। সে ঘেষনা শুনে কৃষক, শ্রমিক, যুবক, আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরলো। অনেক লোক শহীদ হলো, বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। ইতিহাস থেকে জানা যায়, পাকিস্থানের কারাগার থেকে শেখ মুজিবর রহমান মুক্ত হয়ে প্রথমে ল-ন গেলেন। সেখানে প্রথমে শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দেখা হয় বিবিসি’র সাংবাদিক সিরাজুর রহমানের এবং তার কাছ থেকেই শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কথা শুনেন। এক পর্যায়ে তাকে শেখ মুজিবর রহমান জিজ্ঞেস করেন যুদ্ধে দেশে কত লোক মারা গেছে ? সাংবাদিক সিরাজুর রহমান বলেন, পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায় এ পর্যন্ত ৩ (তিন) লাখ লোক মারা যায়। যা হোক পরবর্তীতে বৃটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে শেখ মুজিবর রহমান ৩ লাখকে ৩ মিলিয়ন বা ৩০ (ত্রিশ) লাখ বলেছিলেন। যা আজো মানুষের মাঝে বিদ্যামান। সে দিন শেখ মুজিবর রহমান ডেভিড ফ্রস্টকে যা বলেছিলেন-
You know what has happened in bengel ? I will tell you. Three million people have been killed, including children, woman, intellectuals, peasants, workers, students. At least 25 percent to 30 percent of house are burned and looted in bangladesh. All food go downs have been destroye
FROST: and how do you know that the number as high as three million.
SHEIKH MOJIB: before my coming, my people had started collecting information. I have messages coming from allover where where i have a base. We have not finally concluded, it might be more, but definitely it will not be less than three million. (source: www.thedailystar.net)
ইতিহাস ও বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধাদের পত্র-পত্রিকার সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়-১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারী শেখ মুজিবর রহমান স্ব-দেশে প্রত্যবর্তন করেন এবং রেসর্কোস মাঠে এক মিটিংয়ে তিঁনি প্রথম মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের কথা বলেছিলেন। ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ বুলেটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশী সাংবাদিকদের বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধে ১.৫ মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে। পরবর্তীতে ১৫ জানুয়ারী ১৯৭২ শেখ মুজিবর রহমান একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে যৌক্তিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি তালিকাভুক্ত করার জন্য তার সেক্রেটারী ডা. সাত্তারকে হুকুম করেন। ডা. সাত্তার হুকুম পেয়ে ২৯ জানুয়ারী ১৯৭২ পুলিশের আইজিপি রহীম সাহেবকে দিয়ে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি এপ্রিল মাস ধরে কাজ করে একটা রির্পোট পেশ করেন। সেই রির্পোট অনুযায়ী ২ লাখ ৬৯ হাজার শহীদ হওয়ার খবর পাওয়া যায় এর একটু আগে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭১ তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সংবাদ সম্মেলন করে বলেন-বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ১০ লাখ। তারও একটু আগে ১৯৭১ এর ২৩ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহম্মেদ জাতির উদ্দেশে তার ভাষনে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে ১০ লাখ শহীদের কথা বলেন। সম্প্রতি গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বলেছেন-“সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২০ জুন ভারতের টাইম্স অব ইন্ডিয়া পত্রিকা পিটিআইয়ের সুত্রে আমাদের দেশে শহীদদের কথা উল্লেখ করেন ২ লাখ ৬৯ হাজার। এবং সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধাদলের এক অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেন,“মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বির্তক আছে।”( সুত্র: দৈনিক প্রথম আলো ২৬ জানু: ২০১৬)
বেগম খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যের পর আ’লীগ সরকারের যেনো গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তারা চারদিকে হৈ চৈ শুরু করে দিয়েছে যে বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রদ্রোহ বক্তব্য দিয়েছেন। অভিনেত্রী থেকে প্রতিমন্ত্রী হওয়া তারানা হালিম ঘেরাও কর্মসূচী পালন করেন। আর এক উকিল সাহেব তো বেগম খালেদা জিয়ার বাসার গেটের সামনে উকিল নোটিশ টানিয়ে দিয়ে আসেন। ফলে এ পেক্ষিতে নোটিশের কোন জবাব না পেয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাস্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবি সুমিতির সাবেক সম্পাদক মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অনুমতি নিয়ে মামলা দায়ের করেন। এই মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তাই এই মামলার জন্য আদালত বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমনও জারি করেন এবং একই সঙ্গে আগামী ৩ মার্চ ২০১৬ স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালত।
এ ঘটনার পর দেশের বেশীরভাগ বিজ্ঞ আইনজীবি, সূশীলসমাজ, বিশিষ্টজন যা বলেছেন তা অতি সংক্ষেপে নি¤েœ উল্লেখ করা হলো-
প্রবীন বিজ্ঞ আইনজীবি ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য রাজনৈতিক বক্তব্য। এই বক্তব্যে কোন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয় না। এটা পলিটিক্যাল ডিক্টিমাইজেশন। এই সরকারকে ডোবানোর জন্য এ সব (রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা) করা হয়েছে। সরকার ডোবাতে এটাই সবশেষ। ডুবতে চাইলে এভাবেই তো ডোবে।
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না দিয়ে বলে দেন এদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। দেশকে আওয়ামীলীগ প্রজাতন্ত্র বলে ঘোষনা দেন। স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে কারাবরণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা মেনে নেওয়া যায় না। যে কর্মকর্তা মামলা দিয়েছেন তার বিরুদ্ধেও মামলা হবে।
সুপ্রিমকোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্য কোনভাবেই রাষ্ট্রদ্রোহ নয়। ফৌজদারী কার্যবিধির ১২৪(এ) ধারায় রাস্ট্রদ্রোহের যে সংজ্ঞা আছে, বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য সে সংজ্ঞায় পরে না। এখানে সরকারের বিরুদ্ধে জঙ্গী কার্যক্রমের কথা বলা হয়েছে। এই জিনিসটি বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের কোথাও নেই।
আইনবিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ সর্ম্পন্ন ভ্রান্ত ও মিথ্যা। শহীদদের সংখ্যার বিষয় নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে রাস্ট্রদ্রোহের অভিযোগ করা হচ্ছে।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হাস্যকর। এটা পরিহাস ছাড়া আর কিছুই নয়। এ মামলা শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে। বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে, রাজনীতিতে থাকলে, তিনি রাস্তায় বের হলে তাদের টনক নড়ে। তাদের অস্তিস্ব বিপন্ন হয়ে পড়ে। সে জন্য তারা বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরাতে চায়।
আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ৩০ লাখ অনুমানভিত্তিক নিরুপন করা হয়েছে। নিহতের এ সংখ্যা এক-দু’জন করে গুনে কখনও বের করা যায় না। সারা পৃথিবীর যেখানেই গণহত্যা হয়েছিল সেটি কখনও এক-দু’জন করে গুনে নির্ণয় করা হয় নি। এটা অনুমানভিত্তিক নিরুপন করা হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাস্ট্রদ্রোহ এ মামলা হওয়ার পর থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করে যাচ্ছে। সে সব অনুষ্ঠানে বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা যেমন-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নজরুল ইসলাম খান, গয়েস্বর চন্দ্র রায়, এ্যাড. রিজভী আহম্মেদ প্রমূখসহ অনেকে বক্তব্য দিয়ে আসতেছেন। ইতিমধ্যে গয়েস্বর চন্দ্র রায় এর বাসা আওয়ামীরা ঘেরাও করে রাখছে। পুলিশ-প্রশাসন কোন বাঁধা দিচ্ছে না।
আর ইংরেজী ঝবফরঃরড়হ শব্দ হতে রাষ্ট্রদ্রোহ শব্দটির উৎপত্তি। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দ্রোহ, বিশ্বাসঘাতকতা, বিরুদ্ধাচারণ করা হচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহীতা। বিশ্বকোষ ও সমর্থক শব্দকোষ থেকে প্রাপ্ত রাষ্ট্রদ্রোহের সংজ্ঞা এ রকম-(1) “A revolt or an in casement to revilot against established authority, usually in the form of treason or defamation against government.”(2) “incitement of resistance to or insurrection against lawful authority.”
কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘রাজনীতির অভিধান’-এ রাষ্ট্রদ্রোহ বলতে বুঝানো হয়েছে “দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি আনুগত্যের অভাব বা বিরুদ্ধাচারণ”।
‘রাজনৈতিক কোষে সংজ্ঞা দেওয়া আছে, “রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে ক্ষতিকর কাজকেই বলা হয় রাষ্ট্রদ্রোহ।
ইতিহাস ও পত্র-পত্রিকার ভিত্তিতে উপরোক্ত ঘটনাবলীর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম ভাবছে, দেশে-বিদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের যে সংজ্ঞা আছে এবং বেগম খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কোন ভাবে রাষ্ট্রদ্রোহের মধ্যে পরে তা বোধগম্য নয়। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান এবং এই জিয়াউর রহমানের স্ত্রী-ই বেগম খালেদা জিয়া, যিনি মুক্তিযুদ্ধে কারাবরণও করেছিলেন এবং একজন মুক্তিযোদ্ধাও। অন্যদিকে যে সরকারের সময় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাস্ট্রদ্রোহ মামলা হলো সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে পাকিস্থানের ভ্রাতা খেয়ে রক্ষাণাবেক্ষণ জীবন-যাপন করেছিলেন। নতুন প্রজন্ম ভাবছে, শহীদদের সঠিকভাবে সন্মান জানানোর জন্যই বেগম খালেদা জিয়া ঐ কথা সে দিন বলেছিলেন।
—————দম্ভ বা অহমিকায় বা ক্ষমতার জোরে রাজনৈতিক এ পাল্টাপাল্টি খেলা চললেও নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে চায়। নতুন প্রজন্ম জানতে চায় ১৯৭১ সালে কতোজন যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছিল আর কতোজনই বা শহীদ হয়েছিল। কেন-না নব্বই দশকের পর বিএনপি ও আওয়ামীলীগ পর্যায়ক্রমে ক্ষমতায় আসতেছে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বা তালিকা পরিবর্তন করতেছে। অতি সম্প্রতি আওয়ামীলীগ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স আরো কমানোর অর্থাৎ ১৯৭১ –এ যাদের বয়স ১২ বছর ৩ মাস ছিল তারাও এখন মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবে। এতে করে সরকারীদলের লোকজন বেশী বেশী মুক্তিযোদ্ধা হবে। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধরা সরকারী ভ্রাতা পাচ্ছে, সন্মান জানানো হচ্ছে। কিন্তু মক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছে স্বাধীনতার এতো বছর পরও তাদের তালিকা করা হয় নি এবং তাদের পরিবার যথাযথ ভ্রাতাও পাচ্ছে না। অথচ দেশ স্বাধীনের পর উচিত ছিল আগে শহীদদের তালিকা করা এবং তাদের সন্মান জানানো ও তাদের পরিবারকে যথাযথ সন্মানি দেওয়া। নতুন প্রজন্ম ভাবছে, মক্তিযোদ্ধরা সন্মানী পেলেও কেন স্বাধীনতার এত দিন পরেও শহীদদের তালিকা হচ্ছে না, যথাযথ সন্মানীও পাচ্ছে না। নতুন প্রজন্ম রাজনৈতিক পাল্টাপাল্টি এ খেলার ক্ষান্ত চায়। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের সঠিক সংখ্যা জানতে চায়।
লেখক: কবি ও কলামিস্ট।