Sun. Sep 21st, 2025
Advertisements

30kখোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ :  নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের ক্রাইস্টচার্চ শহরে ভূমিকম্পের চলার সময় সমুদ্রমুখি একটি পাহাড় ধসে পড়েছে। স্থানীয় সময় ভ্যালেন্টাইনস ডে-র (রোববার) দুপুর সোয়া ১টার দিকে হওয়া ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটিতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। ক্রাইস্টচার্চের পূর্বদিকের ওই সৈকতটিতে স্নানার্থী ও সার্ফারদের ভিড়ে ব্যস্ত সময়ে পাহাড় থেকে পাথর ধসে সাগরে পড়তে শুরু করে। ভূমিকম্পটি ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। নিউজিল্যান্ডের ভূমিকম্প সংস্থা জিএনএস সায়েন্স রোববারের ভূমিকম্পটিকে ‘মারাত্মক’ বলে বর্ণনা করেছে।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ক্রাইস্টচার্চ শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পূর্বে ভূত্বকের ১৫ কিলোমিটার গভীরে হয়েছে বলে জানিয়েছে জিএনএস। স্থানীয় বাসিন্দা স্টিফেন ও ডওইয়ার জানান, তিনি সৈকতে ছিলেন এবং তার স্ত্রী কুকুর নিয়ে হাঁটছিল, এ সময় পাহাড়টি ধসে পড়তে শুরু করে। সৈকতের বালু নরম হয়ে যেতে শুরু করে। বালুর নীচ থেকে পানি উঠতে শুরু করে। লোকজনের পা হাঁটু পর্যন্ত ডুবে যায়। প্রায় ২০ সেকেন্ড ধরে কম্পন অব্যাহত থাকে, বলেন তিনি। ভূমিকম্পে শহরের সাগরতীরবর্তী এলাকাটি ধূলার মেঘে ঢেকে যায়। ১৫ মিনিট পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা রিচার্ড লফহ্যাগেন। ভূমিকম্পটি পুরো দক্ষিণ দ্বীপজুড়ে অনুভূত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে দোকানের র‌্যাক থেকে মালপত্র পড়ে যেতে দেখা গেছে।
২০১১ সালে ক্রাইস্টচার্চে এক প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে শহরটির কেন্দ্রস্থল ধ্বংস হয়ে ১৮৫ জন নিহত হয়েছিল। ওই ভূমিকম্পের বর্ষপূর্তির কয়েকদিন আগে এবারের ভূমিকম্পটি হল। বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় নিউজিল্যান্ডের অবস্থান। দ্বীপদেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের কুখ্যাত রিং অফ ফায়ারের উপর অবস্থিত। প্রায় পুরো প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে রাখা এই রিং-জুড়ে ক্ষণে ক্ষণে ভূমিকম্প ও আগ্নেয় উদগিরণের ঘটনা ঘটে।