Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

14kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: কম্পিউটারের উজ্জ্বল পর্দার দিকে তাকিয়ে অনেক বেশি সময় কাটাচ্ছে এ যুগের মানুষ। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তাদের চোখে। অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের একদল বিজ্ঞানী এক গবেষণার ভিত্তিতে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বিশ্বের অর্ধেক মানুষ চলতি শতকের মধ্যভাগে দৃষ্টিক্ষীণতায় (মাইওপিয়া) আক্রান্ত হতে পারে।
অপথালমোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন কাছের বস্তু বা দৃশ্য দেখার কাজে চোখের ব্যবহার হচ্ছে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। প্রায় সব বয়সী মানুষ কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের মতো যন্ত্রের পর্দায় নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ নিমগ্ন থাকে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তাদের চোখে। তাই ২০৫০ সালের মধ্যে এই গ্রহের ৫০ শতাংশ মানুষই চোখে চশমা বা কনট্যাক্ট লেন্স নিতে বাধ্য হবে। আর জনসংখ্যার ১০ শতাংশ গুরুতর মাইওপিয়া রোগে আক্রান্ত হবে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থিত নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রায়ান হোল্ডেন ভিশন ইনস্টিটিউট এবং সিঙ্গাপুর আই রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা লিখেছেন, ভবিষ্যৎ দৃষ্টিক্ষীণতার জন্য পরিবেশগত কিছু কারণও দায়ী। যেমন পড়াশুনার অত্যধিক চাপ—বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, তাইওয়ান ও চীনের শিশু-কিশোর-তরুণদের ওপর।
চীনে কিশোর বয়সী প্রতি ১০ জনের ৯ জনই দৃষ্টিক্ষীণতায় আক্রান্ত বলে ধারণা করা হয়। আর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এই সমস্যার হার আরও বেশি। সেখানে ১৯ বছর বয়সীদের মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশ সুস্পষ্টভাবে দেখতে পায়। ইউরোপে প্রায় ৫০ শতাংশ কিশোর-তরুণ মাইওপিয়ায় আক্রান্ত। অথচ তাদের মা-বাবার প্রজন্মেই ওই বয়সীদের দৃষ্টিক্ষীণতার হার ছিল ২৫ শতাংশের কিছু কম।
প্রতিবেদনটির অন্যতম লেখক ও ব্রায়ান হোল্ডেন ভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক কোভিন নাইডু বলেন, শিশুদের চোখ প্রতিবছর নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে। আর তাদের ভবিষ্যৎ দৃষ্টি-সমস্যার ঝুঁকি এড়াতে ঘরের বাইরে বেশি সময় কাটানো এবং যান্ত্রিক পর্দায় একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার সময় কমানোর মতো কৌশল নেওয়া যেতে পারে।