Sat. Sep 20th, 2025
Advertisements

29kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: চোখ আর মাথাসহ ৫০ কোটি বছরের পুরোনো ‘ডুবোজাহাজ’। এই জাহাজটিই আবার খুব ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। কী ভাবছেন? কোথা থেকে এই আজগুবি গপ্পো ফেঁদে বসলাম? তাহলে জানিয়ে দেই, সাড়াজাগানো এই ‘ডুবোজাহাজটি’ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছে আমেরিকান লাইফসায়েন্স ইনস্টিটিউটের খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা। আর প্রাণিবিজ্ঞান গবেষণার এই সাড়াজাগানো প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসে।
সম্প্রতি রকি পর্বতমালার কানাডিয়ান ফসিলস ফিল্ড বলে পরিচিত বার্গারস শেল-এ একটি ৫০ কোটি বছরের পুরোনো ওপরের ছবির ফসিলটি খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। আর দেখতে হুবহু ডুবোজাহাজের মতোই এ ফসিলটি ভেঙে দিয়েছে জীববিজ্ঞানের অনেক পুরোনো তত্ত্বই।
ফসিলটির কার্বন ডেটিং পরীক্ষার পর এর বয়স দেখে বিজ্ঞানীরা ভাবছেন, প্রাণিবিজ্ঞানে প্রচলিত তত্ত্ব অনুযায়ী এককোষী জীবের সময়কার প্রাণিজগৎ মাথা পেল কী করে?
নিউইয়র্ক টাইমসকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ফসিলটি ৫০ কোটি বছর প্রাচীন। তবে ওই সময় এককোষী জীবের বাইরে অন্য কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব পাওয়ার নজির নেই। আর্থ্রোপড গোত্রের জীব অডারাইয়া আলাটার মাধ্যমে প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীতে মাথার অস্তিত্বওয়ালা প্রাণীর আবির্ভাব হয়। আজ থেকে প্রায় ১০ কোটি বছর আগে মধ্য কেমব্রিয়ান যুগে এরা পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াত ।
প্রাণিবিজ্ঞানীদের ধারণা, অনুযায়ী প্রাচীন আর্থ্রোপড গোত্রে প্রাণীর শরীরে এনটেরিয়র স্কেলিরেইট একটি শক্ত প্লেট থাকত। এ ছাড়া এই গোত্রের প্রাণীদের দেহে থাকত চোখের মতো কিছু অঙ্গ। যা স্নায়ুর সাহায্যে যুক্ত হতো মস্তিষ্কের সঙ্গে। আধুনিক কীটপতঙ্গরা যেভাবে তাদের দৃষ্টিশক্তি নিয়ন্ত্রণ করে, প্রাগৈতিহাসিক আর্থ্রোপডরা সেই পথের দিশারী বলে অভিমত প্রাণিবিজ্ঞানীদের।
তবে সেই আর্থোপডদের সর্বশেষ নমুনা পাওয়া যায় ১০ কোটি বছর আগে। কিন্তু প্রায় ৫০ কোটি বছর আগেকার প্রাণীর দেহে কীভাবে চোখ এবং মাথা এলো, সেটাই এখন ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।