খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ : দেশে পূর্ণাঙ্গ ভাবে স্মার্টফোন ও ট্যাব তৈরি করতে যাচ্ছে সামিট টেকনোপোলিস। শ্রীলঙ্কার ই ডব্লিউ আই এস কলম্বোর সহায়তায় গাজীপুরের হাইটেক পার্কে শুরু হচ্ছে এই কার্যক্রম। এ লক্ষে ২৩২ একর ভূমির মূল পার্কটির ২ নং ব্লকে ৬২ একর ও ৫ নং ব্লকের ২৯ একর জায়গায় সামিট টেকনোপোলিস লিমিটেডের সিগনেচার বিল্ডিং ও মেন্যুফেকচারিং বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। রোববার এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ খান, শ্রীলঙ্কার ই ডব্লিউ আই এস কলম্বোর সিইও সানজিওয়া এ. উইকরামানায়েকে ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, স্মার্টফোন ও ট্যাব ম্যানুফ্যাকচারিং করতে ব্লক দুটিতে ২০৭.৫৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ উদ্বোধন শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের চাহিদা বাড়ছে। প্রতি বছর ৩ লাখ ল্যাপটপ ও ৫ কোটি মোবাইল ফোন আমদানি করতে হয়। বিদেশ থেকে এসব আমদানি করতে প্রচুর টাকা বাইরে চলে যাই। ভবিষ্যতে দেশেই স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে অত্যন্ত আনন্দের দিন কারণ বাংলার মাটিতে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপর কাজ শুরু হলো আজ।
চলতি বছরও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার ৩৪ হাজার ল্যাপটপ বিতরণ করেছে জানিয়ে পলক বলেন, আগামীতে এসব ডিভাইস আর আমদানি করা লাগবে না। এই হাইটেক পার্ক থেকেই দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবো।
তিনি জানান, সাত বছর আগে আইসিটি এক্সপোর্ট ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন (ইউএস) ডলার, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৩শত মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে আমরা ৫ বিলিয়ন ডলার আইসিটি এক্সপোর্ট করবো। সেটা হার্ডওয়্যার, সফটওয়ার ও সার্ভিস সেক্টর থেকে। এ লক্ষ্যে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইটি ও আইসিটি সেক্টরে আয়কর সম্পূর্ণ মওকুফ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ৩ বছরের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তিতে ৪৫ হাজার আইটি এবং আইটিএস গ্র্যাজ্যুয়েটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একটি স্কিল্ড, ইকোইফট এবং ডিজিটাল জেনারেশন তৈরি করার জন্য এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাতে আইটি সেক্টরে কোন সার্ভিস কর্মী সংকটের সৃষ্টি না হয়। এসময় কালিয়াকৈর হাইটেকপার্কটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে আগামী ১০ বছরে ৭০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলেও জানান পলক।