খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২ মার্চ ২০১৬ : নভোচারি স্কট কেলি এক বছর মহাকাশে কাটিয়ে বুধবার পৃথিবীতে ফিরেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার মহাকাশ গবেষণা কাজে তিনি এক বছর মহাকাশে ব্যয় করেন। কাজাখাস্তানে নিরাপদ অবতরণের পর এই মহাকাশচারী স্পেস স্টেশনে তার ভ্রমণের বর্ণনা করেন।
গত বছর মার্চে সয়োজ ক্যাপসুলে করে তিনি মধ্য এশিয়ার প্রান্তরে প্রবেশ করেন এবং একটি বিজ্ঞান সম্মত গবেষণা মিশন শেষ করেন আন্তর্জাতিক স্পে স্টেশনে। এই যাত্রাটি মঙ্গলে যাওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য একটি পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
৩৪০ দিন স্পেসে কাটিয়ে বাসায় ফেরা ঘটনাটি একটি জয়যুক্ত ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কেলি ক্যাপসুল থেকে বেরিয়ে এসে ‘থাম্বস আপ’ প্রদর্শন করেন। তিনি হাসেন এবং তার চিকিৎসক ও আলোকচিত্রশিল্পীদের সাথে কথা বলেন। এ সময় তাকে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জমে যেতে দেখা যায়।
নাসার মুখপাত্র রব নাভিস কেলির কথা জানাতে গিয়ে বলেন, তিনি পৃথিবীর বাতাস খুব উপভোগ করছেন। তবে কেন মানুষেরা তাকে দেখার জন্য জমায়েত হল সে বিষয়ে তার কোন ধারণা নেই।’
তিনি স্টেশন মিশনে যাওয়ার পাঁচ মাস আগে পৃথিবীর সাথে যতটা তফাত খুঁজে পেয়েছিলেন এখন তেমন কিছু পাচ্ছেন না। কেলি এবং কর্নেইনকো তিন ঘণ্টা আগে স্পেস স্টেশনে চেক আউট করেন। ভ্রমণের সময় তারা ১৪৪ মিলিয়ন মাইলে মহাকাশের ভেতরে পাড়ি দেন। সারা পৃথিবীকে ৫ হাজার ৪৪০ বার প্রদক্ষিণ করেন।
এটি কোন আমেরিকানের দ্বারা প্রথম দীর্ঘতম একক মহাকাশ ভ্রমণ।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক মহাকাশচারী ১২৫ দিন পর্যন্ত স্পেসে ছিল। এটি একটি দীর্ঘতম স্পেস ফ্লাইট হিসেবে বিবেচিত। তবে একজন রাশিয়ান চিকিৎসক ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি ৪৩৮ দিন স্পেসে থেকে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করে।
এক বছর মহাকাশে থাকার অভিজ্ঞতা নাসাকে মঙ্গল যাত্রা সফল করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে নাসার বিজ্ঞানীরা আশাবাদী।