Mon. Sep 22nd, 2025
Advertisements

38kখোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০১৬: ৫ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে শুরু করে একের পর এক কঠিন সময় পার করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বর্তমানে দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল, উপজেলা নির্বাচন ও সরকারের ইমেজ ধরে রাখার জন্য বড় চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে দলটি।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে বিদেশিদের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ ও হরতাল-অবরোধসহ নানান কৌশল প্রয়োগ করেছে ২০ দলীয় জোট। সরকার ও তার দল গত দুই বছর ধরে বিএনপি জোটের আন্দোলন-সংগ্রামসহ সকল কৌশলকে প্রতিরোধ করছে।
এই সরকারের অধীনে ঢাকা-চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির পক্ষথেকে এসব নির্বাচনে নানান ধরনের অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এসেছে। এ কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের মাঝ পথ থেকে সড়ে গেছে বিএনপি।
বর্তমান সময়টা সরকার ও তার দলের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। একদিকে সারাদেশে শিশু হত্যা ও আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও বিরোধী জোটের আন্দোলনের হুমকি-ধামকি। অন্যদিকে দলের জাতীয় কাউন্সিল, দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন।পাশাপাশি বিএনপির কাউন্সিলের স্থান নির্ধারণ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে একটি কঠিন সময় পার করছে ক্ষমতাসীনরা।
তবে আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে আগামী ২৮ মার্চ দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সময় পরিবর্তন করা হতে পারে।
তিনি আরও জানান, সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এটাই স্বাভাবিক। আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও জনগণের উন্নয়ন চায়। তবে বিএনপি-জামায়াত দেশের উন্নয়ন সহ্য করতে পারে না। তাই তারা বিভিন্ন সময় জ্বালাও পোড়াও করে দেশকে পিছিয়ে দেয়ার চেষ্ট করে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায়। তাই সবদিকে নজর রেখে সঠিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায় সরকার ও তার দল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল- আলম লেলিন বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডটকমকে বলেন, যেহেতু ২২ মার্চ ইউপি নির্বাচন। আবার ২৮ মার্চ দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল। সব মিলিয়ে একটু সমস্যা তো হবেই। তবে কাউন্সিলের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন বর্জন, জ্বালাও-পোড়াও এটা বিএনপির স্বভাব। তারা নির্বাচনে থাকবে কি, থাকবে না বা তারা অন্যকিছু করবে এটা তাদের ব্যাপার।