খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৭ মার্চ ২০১৬ :দক্ষিণ কোরিয়ার টেক জায়ান্ট স্যামসাংয়ের সর্বসাম্প্রতিক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটটি সবার নজরে রয়েছে। এ পণ্যটিকে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে স্যামসাং। এর অপশনগুলো বেশ সহজ করা হয়েছে। এ যন্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, স্যামসাং গিয়ার নামের ভিআর হেডসেটটি স্মার্টফোন নির্ভর করা হয়েছে।
বহু বছর ধরে ভিআর হেডসেটকে স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ভিআর ব্যবহারযোগ্য স্মার্টফোনগুলো অনেক দামি ও উন্নত প্রযুক্তির হতে হবে। স্যামসাং গিয়ারের জন্যে কি ধরনের স্মার্টফোন তারা তৈরি করতে চলেছে তা ব্যাপক আগ্রহের বিষয়। স্মার্টফোনের স্ক্রিনেই ৩৬০ ডিগ্রি কোণে ভেসে উঠবে সবকিছু।
গিয়ার ভিআর ১ ব্যবহারের মাধ্যমে পুরো সুবিধা পেতে হলে সব সময় অনলাইনে থাকতে হবে। এর মাধ্যমে ভিআর নেটওয়ার্কে তোলপাড় করবে। ইন্টারনেট ছাড়াও গিয়ারে দেখার যোগ্য ভিডিও পাওয়া যাব। কিন্তু এতে পুরো মজা মিলবে না। ভিআর হেডসেটে দেখার যোগ্য এক মিনিটের একটি ভিডিও ধারণ করতে থেটা ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। এক মিনিটের ভিডিওটি ২০০ মেগাবাইটের।
তরুণ প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে ভিআর হেডসেট দারুণ সাড়া ফেলবে বলে মনে করেন কোয়ালকমের ভারতীয় প্রধান সুনিল লালভানি। ভিআর চলবে এমন স্মার্টফোনের জন্যে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮২০ চিপ এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। যদিও এ ধরনের স্মার্টফোন সহজলোভ্য হতে সময় লাগবে।
এ বছর বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ভিআর সবচেলে আলোচিত বিষয় ছিল। তবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ফোর জি প্লাস ইন্টারনেট সেবাতেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি। তাই ৫জি যুগে প্রবেশ করতে চায় ইন্টারনেট সেবা।
মোবাইল অবশ্যই ভিআর হেডসেটের উপযুক্ত করে নির্মিত হবে বলে জানান কোয়ালকমের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট টিম ম্যাকডোনোহ। আর ভিআর-এর ভবিষ্যত মাথায় নিয়েই বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কোয়ালকম।
এখন প্রশ্ন হলো, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কনটেন্টকে কিভাবে আরো ছোট করা যায়? কারণ একে পেতে হলে ক্লাউড স্টোরেজের ওপর নির্ভর করতে হবে। এর জন্যে আবার ক্লাউড স্টোরেজকেও নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে।
ভিআর ভিডিও ডাউনলোডের জন্যে কোয়ালকম এক্স১৬ এলটিই মডেম তৈরি করেছেন। বর্তমান থ্রি-জি-এর গতি অপেক্ষা ৫০০ গুন বেশি গতিতে কনটেন্ট ডাউনলোড হবে এতে। এমন গতিতে ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে স্মার্টফোন আর বেশি দূরে নয়।
ভিআর দেখতে এক দানবীয় ডেটা গতির প্রয়োজন। নকিয়ার ওজো স্ফেরিক্যাল স্টেরিওস্কোপিক ক্যামেরা প্রতি ৪৫ মিনিটে ৫০০ জিবি পর্যন্ত ডেটা নামাতে পারে। এটি প্রতি মিনিটে ১১ জিবি ডেটা নামাতে সক্ষম।