Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

50kখোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০১৬ : জনসম্মুখে একজনের কানে মেরেছিলেন আরেকজান। তাতে মান গেছে, সঙ্গে শ্রবণ শক্তিরও ক্ষতি হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি তাই প্রতিশোধ নিতে কেটে নিয়েছেন প্রথম জনের কান। আর কান নিয়ে এমন ঘটনায় অন্যদের মধ্যে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ হেসেছেন, কেউ সমালোচনা করেছেন, কেউ আবার করেছেন বিক্ষোভ মিছিল। রবিবার এমন ঘটনা ঘটেছে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায়।
যে ব্যক্তির কান কাটা গেছে তিনি পাইকগাছা উপজেলা যুবলীগের সহসভাপিত শেখ শহিদ হোসেন বাবুল। আরে যে ব্যক্তিটি তার কান কেটেছে তার নাম আবুল কালাম আজাদ। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, বৃহস্পতিবার যুবলীগ নেতা স্থানীয় বোয়ালিয়া ব্রিজের কাছে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়েছিলেন। ওই সময় শেখ শহিদ হোসেন বাবুল বহু লোকের সামনে আবুল কালামকে কানে থাপ্পড় মেরে ছিলেন। এতে আবুল কালামের কানে শুনতে সমস্যা হয়। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে রবিবার আবুল কালাম আজাদ কানে কানে কথা বলার আবদার জানিয়ে ছুরি দিয়ে বাবুলের কান কেটে পালিয়ে যায়।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন জানান, উপজেলার মুক্তির মোড়ে চায়ের দোকানে চা পান করার পাশাপাশি অন্যদের সাথে কথা বলছিলেন শেখ শহিদ হোসেন বাবুল। ওই সময় একই এলাকার আবুল কালাম আজাদ নামের এক যুবক সেখানে উপস্থিত হয়। সে যুবলীগ নেতার সাথে কানে কানে কিছু কথা বলতে চায়। তাতে বাবুল সম্মতি দিলে কথা বলার অজুহাতে কাছে গিয়ে আজাদ ছুরি দিয়ে তার কান কেটে নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
রক্তাক্ত অবস্থায় শেখ ফরিদ হোসেন বাবুলকে পাইকগাছায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। অন্যদিকে, পাইকগাছা পুলিশের এসআই আব্দুল মান্নান ফকিরে নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে কান কর্তনকারী আবুল কালাম আজাদকে আটক করেছে। পুলিশ তার কাছ থেকে বাবুলের কর্তন হওয়া কানটি উদ্ধার করেছে। কান উদ্ধার ও আটক ঘটনাটি থানায় জিডি এন্টি করা হয়েছে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা অব্দি কোনো মামলা হয়নি।
কান কাটার এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় হাস্যরসসহ বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাইকগাছা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।