খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০১৬ : দেশে সত্তরের দশকে ডিম উৎপাদন ছিল বছরে মাত্র ১৩ লাখের মত। যা এখন এক হাজার কোটি ছাড়িয়ে গেছে। আর মাংস উৎপাদন বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৫ লাখ টনে। ডিম ও মাংস উৎপাদন সন্তোষজনক হলেও দেশে এখনও প্রাণিদুগ্ধের মোট চাহিদার প্রায় ৫১ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে।
এর ফলে প্রতি বছর বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ গুড়াদুধ আমদানি করতে হচ্ছে। এ ঘাটতিপূরণ করতে হলে প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক হারে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে হবে। এজন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী ডিগ্রী চালুর পাশাপাশি এর ফলিত বিষয় যেমন পোল্ট্রি বিজ্ঞান ও ডেয়রি বিজ্ঞানে আলাদা ডিগ্রী চালু করতে হবে। আজ সোমবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী দিবস উপলক্ষে এক সেমিনারে এ কথা জানান দেশের বিশিষ্ট প্রাণিসম্পদ গবেষকেরা।
সকাল ১১ টার দিকে এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পালন অনুষদ। অনুষ্ঠানে পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস.ডি. চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর।
বাংলাদেশ এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. শরাফত জামান, ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও ডেইরি বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নজমুল হাসান। সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন দেশের বিশিষ্ট ডেয়রি বিজ্ঞানী ও বাকৃবির ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম।
এর আগে সকাল ১০ টার দিকে এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী দিবস উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে পশুপালন অনুষদ। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। এতে পশুপালন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।