খোলা বাজার২৪,বুধবার, ১৬ মার্চ ২০১৬: বিংশ শতাব্দীর মধ্যে ১৯৭১ সালটি বেশ গুরুপূর্ণ কারণ ঐ সালটিতেই বিশ্বের দ্রুত গাড়ি ফেরারি ডেটোনা (২৮০ কি.মি) বাজারে আসে, মার্কিন মুল্লুকে ধ্বংস হওয়া সুউ”চ ভবন টুইন টাওয়ার নির্মান হয় এবং ইন্টেল বাণিজ্যিকভাবে কম্পিউটার বাজারে ছাড়ে। তারপর থেকেই কম্পিউটারের আকার, গঠন ও কার্যক্ষমতা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকে। ইন্টেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা গর্ডন মুর যে ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন কম্পিউটার অনেকটা সেভাবেই পরিবর্তন হতে থাকে বা একের পর এক উন্নত সংস্করণ আসে। গর্ডন সুর যেমনটি বলেছিলেন কম্পিউটারের আকার পরিবর্তন হয়ে উন্নত সংস্করণ আসবে এবং মানুষের পকেটে পকেটে তা থাকবে। এখন ৩ বিলিয়নের বেশি মানুষের পকেটে কম্পিউটারের সবচেয়ে ছোট সংস্করণ স্মার্টফোন থাকে যা ১৯৮০ সালের কম্পিউটারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ও আধুনিক।
কম্পিউটারের আকার (হার্ডওয়ার) সংস্করণের দিন শেষ। এখন তাহলে কম্পিউটারের ভবিষ্যত কী? বিশ্লেষকরা বলছেন কম্পিউটারের হার্ডওয়ারের যুগ শেষ, এখন কম্পিউটার প্রযুক্তিতে তিনটি বিষয় উন্নতি করবে।
সফ্টওয়ার
কম্পিউটাওে হার্ডওয়ারের উন্নতির ফলে উ”চ ক্ষমতার বিভিন্ন সফ্টওয়ারের উন্নয়ন হবে এখন। ইতোমধ্যে গুগল আবিষ্কৃত ‘আলফাগো’ গ্রোপ্রাগের ‘গো’ মস্তিষ্ক খাটানোর গেম হিসেবে সিউল সম্মেলনের তালিকার প্রথম ৫টির মধ্যে রয়েছে। কম্পিউটার গেম বা নিখুঁত ডিজাইনের ক্ষেত্রে সফ্টওয়ারগুলো আরও গতিশীল ও ব্যবহারবান্ধব হবে।
ক্লাউড কম্পিউটিং
তথ্য সংরক্ষণ ও তা জমিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় ছড়ানোর প্রযুক্তিকে ‘ক্লাউড’ বা মেঘ কম্পিউটিং বলে, বেশ আগে থেকে চলা এ পদ্ধতি প্রযুক্তি জগতে নতুনভাবে সামাজিক নেটওয়ার্কের মত কাজ করছে। নেটওয়ার্ক ডেটা সেন্টার ইন্টারনেটের মাধ্যমে হাজার মানুষকে সেবা দিতে পারে এ নেটওয়ার্ক সিস্টেম। আগামীতে এ প্রযুক্তির সংস্করণ আরও নতুন নতুন সেবা দিতে সক্ষম হবে বলেই ধরা হচ্ছে।
স্থাপত্যকলা
কম্পিউটার আর্কিটেকচারে (স্থাপত্য) আসবে নতুন মাত্রা। দেখতে সুন্দর ও ব্যবহার উপযোগী হিসেবে বিভিন্ন ডিজাইনের কম্পিউটার মানুষকে আকৃষ্ট করবে। ইতোমধ্যে রাউটার ও কম্পিউটারের মনিটর বেশ আকর্ষণীয় ডিজাইনে বাজারে আসতে শুরু করেছে।