Sun. Sep 21st, 2025
Advertisements

26Kখোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০১৬ : সুপার টেনে বাংলাদেশের অর্জনের খাতাটা এখনো শূন্য। পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে হারে শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ইডেনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগামীকাল শেষ ম্যাচটি তাই মাশরাফিদের কাছে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। কিউইদের বিপক্ষে দারুণ কিছু না করতে পারলে সুপার টেনে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার স্মৃতিটুকুই বাংলাদেশের কাছে বড় সম্বল হয়ে থাকবে।
সুপার টেনে দলীয় অর্জন বিস্মরণযোগ্য হলেও ব্যক্তিগত সাফল্যে উজ্জ্বল বাংলাদেশ। কাল পর্যন্ত টুর্নামেন্টে শীর্ষ ব্যাটসম্যান-বোলার দুজনই বাংলাদেশের। সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের তিনজনই বাংলাদেশের। ৫ ম্যাচে ২৯২ রান করে সবার ওপরে তামিম ইকবাল। দুইয়ে থাকা আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শেহজাদের রান ৬ ম্যাচে ১৯৮। ৩ ম্যাচে ১৪৩ রান করে তিনে ইংলিশ ব্যাটসম্যান জো রুট। ৬ ম্যাচে ১৩৫ রান করে সাব্বির রহমান আছেন চারে। সমান ম্যাচে ১২৭ রান করে সাকিব আল হাসান পাঁচে।
রান গড়েও সবার ওপরে তামিম। বাংলাদেশ দলের এই বাঁহাতি ওপেনারের গড়টা বিস্ময়কর—৯৭.৩৩! দুইয়ে থাকা লঙ্কান ওপেনার তিলকরতেœ দিলশানের গড় ৯৫.০০। ৬৯.০০ গড়ে তিনে রয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ।
ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তামিম এখনো শীর্ষে। ওমানের বিপক্ষে করা তাঁর অপরাজিত ১০৩ রান ছাড়িয়ে যেতে পারেননি কেউ। ক্রিস গেইল অবশ্য তামিমকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন, এখন পর্যন্ত পারেননি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১০০ রান করে ক্যারিবীয় ওপেনার তাই দুইয়ে। টুর্নামেন্টে এই দুজনই শুধু ছুঁতে পেরেছেন তিন অঙ্ক।
বোলিংয়ে ৬ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে শীর্ষে সাকিব আল হাসান। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেও বোলিং গড়ে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে রয়েছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেও ‘নাম্বার ওয়ান’ সাকিব।
বলতে পারেন, তামিম-সাকিবের এগিয়ে থাকার পেছনের মূল কারণ, প্রথম পর্বে তিনটি ম্যাচ বেশি খেলার সুযোগ। কিন্তু আফগানিস্তানও তো প্রথম পর্ব খেলেছে। আফগানদের কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেননি তামিম-সাকিবকে। তা ছাড়া ম্যাচসংখ্যা যা-ই হোক, ধারাবাহিক পারফরম্যান্সেই দুজনের ব্যাটিং-বোলিং গড়টা এমন উজ্জ্বল।
ওপরের পরিসংখ্যান অবশ্য তামিম-সাকিবের জন্য শুধুই আক্ষেপ-জাগানিয়া। দল সাফল্য না পেলে ব্যক্তিগত অর্জন সব সময়ই অর্থহীন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটিতে দারুণ কিছু করতে পারলে আক্ষেপ তবেই কিছুটা কমবে।