Sat. Mar 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

আনু মুহাম্মদ: 
26k0সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্তটি সঠিক। এই সিদ্ধান্ত একবছর আগে নেওয়া হলে
অর্থনীতি অনেক উপকৃত হতো। পুরো অর্থনীতির গতিশীলতা বাড়ত, উৎপাদনশীলতা বাড়ত, আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ত। এই সুযোগটি বাংলাদেশ অনেকখানি হারিয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে তেলের দাম কমছে। সরকারি এ সিদ্ধান্ত এসেছে অনেক বিলম্বে, দাম কমার শেষ পর্যায়ে। কারণ তেলের দাম সামনের দিকে আরও বাড়তে থাকবে।
‘যৌক্তিক’ শব্দটি খুব বাজে শব্দ। আন্তর্জাতিক বাজার দরের সমান হলেই যৌক্তিক দর হবে। আন্তর্জাতিক বাজার দর থেকে বাংলাদেশের তেলের বাজার দর অনেক বেশি। প্রায় ১ শ ডলার কমেছে প্রতি ব্যারেল। সে দাম অনুযায়ী হলেই কেবল তা যৌক্তিক বলা যাবে। আন্তর্জাতিক বাজার দর অনুযায়ী না কমানো হলে তো আর হলো না।
সরকারি এ সিদ্ধান্তের ফলে সবকিছুর উৎপাদন ব্যয় কমবে। বিশেষ করে যেসব পণ্যের সঙ্গে তেলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। যারা উৎপাদক তারা এর সুবিধা পাবে। কনজ্যুমার লেভেলে কতটা সুবিধা পাবে তা নির্ভর করছে কার্যকরের ওপর। পরিবহন ব্যয় কমবে। পরিবহন ব্যয় কমলে বাজার দরের ওপরও তার প্রভাব পড়ার কথা।
সরকার তো কোনো পরামর্শ শোনেনি। পরামর্শ দিয়ে কোনো লাভ নেই। জ্বালানির তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দর অনুযায়ী ঠিক করা উচিত ছিল। দাম কমানোর সুবিধা যেন উৎপাদনশীল খাত ও জনগণের সুবিধাতে আসে তা মনিটরিং করা জরুরি। নিয়মিত মনিটরিং করা না হলে তেলের দাম কমিয়েও কার্যকর ফল দৃশ্যমান হবে না।
পরিচিতি : অর্থনীতিবিদ 
[সংকলিত]