Wed. Sep 17th, 2025
Advertisements

10খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০১৬: সংগীতের ঐকতানে মানুষ, স্বদেশ ও বিশ্ব জাগানোর প্রত্যয় নিয়ে শুরু হলো উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ‘সত্যেন সেন গণসংগীত উৎসব ও জাতীয় গণসংগীত প্রতিযোগিতা’। আজ বিকেল চারটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন লোকশিল্পী গৌরাঙ্গ আদিত্য।
গণসংগীতের প্রচার ও প্রসার এবং গণসংগীতকে সংগীতের একটি স্বতন্ত্র ধারা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সত্যেন সেনের জন্মদিবস উপলক্ষে প্রতিবছর এই উৎসব আয়োজন করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। ২৮ মার্চ ছিল সত্যেন সেনের জন্মদিন। সপ্তমবারের মতো আয়োজিত এবারের উৎসবের স্লোগান ‘মানুষ জাগাও, স্বদেশ জাগাও, বিশ্ব জাগাও সংগীতে’।
দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা। ছবি: সাইফুল ইসলামউৎসবের উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বরেণ্য গণসংগীত শিল্পী বিপুল চক্রবর্তী ও অনুশ্রী চক্রবর্তী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন দেশের বরেণ্য ছড়াকার আখতার হুসেন, বর্ষীয়ান সাংবাদিক শুভ রহমান এবং উদীচীর প্রতিষ্ঠাতা সত্যেন সেনের স্নেহধন্য ও আত্মগোপন থাকাকালীন সময়ে তাঁর পরিচর্যাকারী আমেনা আক্তার।
জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় উৎসব। এ পর্বে উদ্বোধনী পরিবেশনা হিসেবে রবিউল ইসলামের গ্রন্থনায় ‘সংগীতে জাগো’ শীর্ষক গীতি-আলেখ্য পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা।
উদ্বোধনী পর্বে ছিল গীতি-আলেখ্য। ছবি: সাইফুল ইসলামউদ্বোধনী পর্বে বক্তারা সম্প্রতি কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। উদ্বোধনী পর্বের পর সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বের শুরুতেই গণসংগীত পরিবেশন করে মৌলভীবাজার জেলা উদীচী পরিচালিত সংগীত বিদ্যালয় ধ্রুবতারা সংগীত একাডেমির খুদে শিল্পীরা। তারা পরিবেশন করে ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়’ এবং ‘কারখানাতে, ক্ষেত-খামারে’ গান দু’টি। এরপর দলীয় সংগীত পরিবেশন করে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী। একক গান শোনান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ, বিশিষ্ট গণসংগীত শিল্পী সোহানা আহমেদ, উৎসবের উদ্বোধক লোকশিল্পী গৌরাঙ্গ আদিত্য, পশ্চিমবঙ্গের আমন্ত্রিত অতিথি গণসংগীত শিল্পী বিপুল চক্রবর্তী ও অনুশ্রী চক্রবর্তী, অংশুমান দত্ত চৌধুরী অঞ্জন প্রমুখ।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে শুরু হয় জাতীয় গণসংগীত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব।