Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

23kখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০১৬: বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের পর শুরু হয়েছে বিপত্তি। যারা সিম রেজিস্ট্রেশন করেছে তাদের নিকট থেকে জানা গেল এরকম সমস্যার কথা। অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে একজন জিপি গ্রাহকের নিকট ফোন আসে। কল প্রদানকারী নিজেকে জিপির কাষ্টমার ম্যানেজার হিসেবে পরিচয় দেয় এবং বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে তার সিমটি নিবন্ধিত হয়েছে কিনা জানতে চায়। তার হ্যাঁ সূচক উত্তর পাওয়ার পর তিনি বলেন- ‘আমরা গ্রামীনফোন থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিমগুলোকে ভেরিফাই করার জন্য এই ফোন কলটি করেছি।
আমরা আপনাকে এসএমএসের মাধ্যমে একটা গোপন নাম্বার পাঠাবো এবং পরক্ষণেই আপনাকে আবার ফোন দিব এবং ভেরিফিকেশনের জন্য আপনি ঐ গোপন নাম্বারটি আমাদের বলবেন।
বিষয়টি গ্রাহকের নিকট খটকা মনে হলে তিনি বলেন, ‘নিবন্ধনের সময় আমাকে তো কাষ্টমার সেন্টার থেকে বলা হলো যে আপনার সিমটি নিবন্ধনের সমস্ত কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবং সাথে সাথেই এসএমএসের মাধ্যমে আমাকে কনফার্ম করেছিল। তাহলে আবার কেন এই ভেরিফিকেশন? তাছাড়া, আপনি আমাকে জিপির ভেরিফায়েড নাম্বার ১২১ থেকে ফোন না দিয়ে এই নাম্বার থেকে কেন দিয়েছেন? আর আপনার কথা বলার স্টাইলে মনে হচ্ছে না আপনি জিপির কাষ্টমার ম্যানেজার! বেচারা, আমার প্রশ্নগুলোর সদুত্তর দিতে না পারায় আমি বিরক্ত হয়েই কলটি কেটে দেই।
মনের সন্দেহ দূর করার জন্য নিজেই ১২১ এ ফোন করে এমন ভেরিফিকেশনের সত্যতা জানতে চাই। জবাবে কাষ্টমার ম্যানেজার জানালেন যে, বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য জিপির পক্ষ থেকে কোন ভেরিফিকেশন কল করা হচ্ছে না!
বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রতারণামূলক! তাছাড়া, জিপির পক্ষ থেকে ১২১ ভিন্ন অন্য কোন নাম্বার থেকে কথা বলার জন্য ফোন করা হয় না। এইরকম সমস্যার মুখোমুখি অনেকে হয়েছে এবং কাস্টমার কেয়ারে তা জানান হয়েছে।
যারা ইতোমধ্যে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করেছেন তারা হয়তো জানেন যে, নিবন্ধনের সময় জিপি থেকে একটা ৪ ডিজিটের গোপন নাম্বারের ম্যাসেজ আসে যেটা ঐ ম্যানেজারকে বলতে হয়। নাম্বারটি মিলে গেলে ঐ কর্মকর্তা বায়োমেট্রিক ছাপ নিয়ে নিবন্ধন প্রসেস শেষ করে এবং প্রায় সাথে সাথেই এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধনকরন নিশ্চিত করা হয়।
ঐ প্রতারক চক্রটি নিশ্চিতভাবেই জিপির সিস্টেম হ্যাক করে ঐ ভেরিফায়েড নাম্বার থেকে গোপন নাম্বার সম্বলিত এসএমএস পাঠাতে সক্ষম। এরপর ফিরতি কলের দ্বারা গোপন নাম্বারটা জেনে নিয়ে জিপির ডেটাবেইজ থেকে ঐ সিমের গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্যের একসেস্ পাবে। অন্যসব তথ্যর ন্যায় আপনার মহামূল্যবান ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙুলের ছাপ ঐ ডেটাবেইজেই সংরক্ষিত আছে যাকে আমরা বায়োমেট্রিক বলে থাকি। তারপর ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে কত কিছু করা যায় তা আর বোলার অপেক্ষা রাখে না।
তাই নিজে থেকে সতর্ক হন। শুধুমাত্র কোম্পানির নাম্বার থেকে ফোন আসলে আপনার তথ্য প্রদান করবেন। অপরিচিত কারও নাম্বার থেকে ফোন আসলে কখনও তার কথায় বিশ্বাস করবেন না।