Thu. Sep 18th, 2025
Advertisements

45খোলা বাজার২৪,বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০১৬ পেটের দায়ে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করার তাগিদে ফার্টিলিটি ক্লিনিকগুলোতে নিজেদের ডিম্বাণু বিক্রি করছে কলেজছাত্রীরা। তাও আবার কোনো রকম স্বাস্থ্য সচেতনতা ছাড়াই। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের এই খবরটি আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, দালালদের খপ্পরে পড়ে কলেজছাত্রীরা এই সব ক্লিনিকে আসছে। এরা জানতেও পারছে না দিনের পর দিন কোনো রকম যথাযথ পদ্ধতি এবং প্রোটেকশন ছাড়াই এভাবে ডিম্বাণু বিক্রির ফলে কতটা মারাত্মক ক্ষতি ঘটিয়ে ফেলছে তাদের স্বাস্থ্যে!
দেখা যায়, এই ছাত্রীরা মূলত তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার দেবরকোন্ডা, আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল মেহবুবনগর, ওয়ারানঙ্গান ও করিমনগরের বাসিন্দা। দারিদ্র্য এই অঞ্চলের মানুষগুলোর নিত্যদিনের সঙ্গী। তার ওপর টানা খরায় আরো বেড়েছে দুর্দশা। ফলে সেখানকার অল্পবয়সি মেয়েদের সহজেই লোভ দেখিয়ে সম্পূর্ণ বে আইনিভাবে এই পেশায় নিয়ে আসছে বিভিন্ন ফার্টিলিটি ক্লিনিকের দালালরা।
তবে ডিম্বাণু দাত্রী নির্বাচনে ওই ফার্টিলিটি ক্লিনিকগুলো বেশ ‘নাক উঁচু’ । গায়ের রং, শারীরিক গঠন, সুস্থতা এবং ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে চলছে ঝাড়াই-বাছাই। তারপর কম সময়ের মধ্যে বেশিসংখ্যক ডিম্বাণু পাওয়ার লোভে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই ডিম্বাণু দাত্রীকে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন হরমোনাল ইনজেকশন। খাওয়ানো হচ্ছে ওষুধ।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেসব কলেজছাত্রী এই পেশায়, তাদের উপার্জন কত? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমনই এক কলেজছাত্রী জানিয়েছে, মাস গেলে তার পকেটে ঢোকে মাত্র ১০ হাজার রুপি।
তেলেঙ্গানার ম্যাক্সকিউর হাসপাতালের চিকিৎসক অজ্ঞানি মনুজা জানিয়েছেন, ‘অবৈজ্ঞানিকভাবে লাগাতার এই রকম হরমোন থেরাপির ফলে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে এই ছাত্রীদের শরীরে। ভবিষ্যতে তাদের মা হওয়ার সময় প্রাণঘাতী সমস্যাও হতে পারে।