Thu. Sep 18th, 2025
Advertisements

26খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০১৬: গত বছর ডিসেম্বরে শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত পাঁচ কোটি ৪৫ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
পুনঃনিবন্ধিত সিমের এই সংখ্যা বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের হাতে থাকা ১৩ কোটি ১০ লাখ সিমের ৪২ শতাংশের মতো। অবশ্য মোট সিমের মধ্যে আট কোটি বর্তমানে সক্রিয় বলে অপারেটরদের ধারণা।
রোববার মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক এর রোড-শো শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শেষ করব। এর মধ্যে যেগুলোর নিবন্ধন হবে না- সেগুলোর গ্রাহককে নিবন্ধনে বাধ্য করতে কয়েক ঘণ্টা করে সিম বন্ধ ও এসএমএস দিয়ে সতর্ক করা হবে।”
এরপরও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন না করলে ওইসব সিম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন প্রতিমন্ত্রী।
অবশ্য শেষ সময়ে এসে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে বলে জানান তারানা।
সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বাংলালিংক এ রোড শো-র আয়োজন করে। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
গত ১৬ ডিসেম্বর বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ার পর আঙুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি চলছে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন।
সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী সিমের অপব্যবহার ঠেকাতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধনে জোর দেন।
“সিম অপব্যবহারের শিকার অনেকে হয়েছেন। একটি গোষ্ঠী বা পক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পক্ষে সবাই।”
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতির বিরুদ্ধে যারা ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছেন, তারা ‘দেশ ও জনগণের শত্রু’।
“আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করা হচ্ছে- এ ধারণা ভুল। আমরা গ্রাহককে নিরাপত্তা দিতে চাই, এ অপপ্রচারে কান দেবেন না।”
অন্যদের মধ্যে বাংলালিংক এর সিসিও শিহাব আহমেদ, বিটিআরসি ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।