খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০১৬: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেছেন সরকার দেশে আন্তর্জাতিক মানের আইটি প্রফেশনাল গড়ে তোলার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ বিলিয়ন টাকা ব্যয়ে আইটি ইনকিউবেটর স্থাপন করবে। এই আইটি ইনকিউবেটর স্থাপনের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সরকারকে ইতিমধ্যে পাঁচ একর জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের অভিযাত্রাকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে নিজেকে একজন দক্ষ আইটি প্রফেশনাল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ সময় মন্ত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিকে একটি পরিপূর্ণ ডিজিটাল লাইব্রেরিতে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন।
পলক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অভিযাত্রাকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে আইটিতে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত ‘দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ’ শীর্ষক সেমিনার ও ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী তিন বছরে আইটি পেশাজীবীর সংখ্যা বর্তমান আড়াই লাখ থেকে ১০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার বেসরকারি খাতের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালে আইসিটি রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া। আর এতে প্রধান ভূমিকা রাখবে আইটিতে প্রশিক্ষিত দক্ষ মানবসম্পদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থানের জন্য সরকার নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। দেশে ১২টি হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। যশোরের সফটওয়্যার পার্ক নির্মাণ সমাপ্তির পথে। কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্কের উন্নয়ন জোরেশোরে এগিয়ে চলছে। এটি সমাপ্ত হলে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে সরকার বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করেছে। অনেকেই জানেন না যে আমাদের দেশে টাইটানিয়াম, স্মাক ল্যাবের মতো বিশেষায়িত ল্যাব রয়েছে। যেখানে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মন্ত্রী পরে অসচ্ছ্ল মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করেন।