Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

41খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০১৬: অনেকেই বিষয়টি খেয়াল করছেন। প্রযুক্তি উৎকর্ষতায় অতি জনপ্রিয় ট্যাবলেট যেন কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে। এগুলোর মৃত্যু ঘটছে বলেও মনে করছেন অনেকে। নতুন কোনো মডেলের খোঁজই মিলছে না। তারপরও ট্যাব মনে হয় যায়নি। সর্বসাম্প্রতিক অ্যাপলের আইপ্যাডটি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে। আসলে এ ধারণার সৃষ্টি হয়েছে গোটা বিশ্বে ট্যাবের বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ার কারণে। ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে প্রতি দুই মাস অন্তর স্যামসাং নতুন মডেলের ট্যাব ছেড়েছে বাজারে।
কিন্তু ২০১৬ সালে এখন পর্যন্ত একটিও বাজারে আসেনি। একটা সময় মনে হতো, ট্যাব বুঝি ল্যাপটপের স্থান নিতে চলেছে। কিন্তু সে আশা পূরণ হয়নি। উইন্ডোর ট্যাবে কিবোর্ড যোগ করার মাধ্যমে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে মাইক্রোসফটের সারফেস প্রো কিংবা স্যামসাংয়ের ট্যাবপ্রো এস। এ ছাড়া লেনোভোর ইয়োগা হাইব্রিড ট্যাব হিসাবে দারুণ হিট করেছে। ট্যাবের বৈশিষ্ট্য এবং ফিচারে ল্যাপটপের স্বাদ দেওয়া হয়েছে। এতকিছুর পরও ট্যাবগুলো হটকেকের মতো বিক্রি হচ্ছে না। ট্যাবগুলো ফোনের মতো নয়। স্মার্টফোন মূলত জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে জড়িয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত এর ডিজাইন ও পারফরমেন্স পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু ট্যাবের বিষয়টি ভিন্ন। একে বাড়িতে অবসরে ব্যবহারের যন্ত্র হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। অসল মুহূর্তে সোশাল মিডিয়ায় থাকা বা গেম খেলার মতো কাজ ট্যাবের মাধ্যমে হয়ে থাকে। নতুন নতুন ট্যাব এসেও কোনো কাজ দিচ্ছে না।
কারণ ট্যাবের কাজ তার আগের মডেলটি দিয়েই পূরণ হচ্ছে। বাজারে হাজার হাজার ট্যাব রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু ট্যাবে দারুণ সব ফিচার দেওয়া হয়েছে। বিল্ট-ইন প্রজেক্টর, পাতলা কিবোর্ড বা স্টেরিওস্কোপিক ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে অনেক ট্যাবে। অ্যাপলের নতুন আইপ্যাডটি সেরা হলেও বিক্রি কমে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ট্যাবের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যাওয়ার পেছনে নির্মাতাদেরও কিছুটা দায়ভার রয়েছে। স্যামসাংয়ের মতো প্রতিষ্ঠান ট্যাবের প্রতি মনোযোগ হারিয়েছে। টেক জায়ান্টগুলো ভিআর হেডসেটের প্রতি দৃষ্টি দিচ্ছে। এ ছাড়া কিছু জরুরি কাজ ট্যাবের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। তখন মানুষকে ল্যাপটপেই ফিরে যেতে হচ্ছে। তারপরও ট্যাবের সম্মান ধরে রাখতে মাইক্রোসফটের সারফেস লাইন বা স্যামসাংয়ের ট্যাবপ্রো এস বা গুগলের পিক্সেল সি ঠিকই বাজারে আছে। এ ছাড়া উইন্ডোজ, অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেমও বেছে নিতে পারছেন ক্রেতারা।