Fri. Sep 19th, 2025
Advertisements

32খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৬: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি জন্য আগামী ১৮ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওই দিন খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে বুধবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার এ আদেশ দেন।
উচ্চ আদালত গত ২৩ ফেব্র“য়ারি খালেদা জিয়াকে এ মামলায় ১৩ এপ্রিলের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৩ মে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ প্রাক্তন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত ওই মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। রিট আবেদনের কারণে প্রায় ৮ বছর নি¤œ আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- প্রাক্তন মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (প্রয়াত), আব্দুল মান্নান ভুইয়া (প্রয়াত), প্রাক্তন মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, প্রাক্তন মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) প্রাক্তন চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্ণেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, প্রাক্তন নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) প্রাক্তন সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্যাটকোর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো (প্রয়াত), প্রাক্তন মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের প্রাক্তন পরিচালক (পরিবহণ) এ এম সানোয়ার হোসেন, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম ও বন্দরের প্রাক্তন সদস্য লুৎফুল কবীর।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে সরকারের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া গ্যাটকোকে ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে অবৈধভাবে আরাফাত রহমান কোকো ও ইসমাইল হোসেন সায়মন ২ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩৬ টাকার আর্থিক সুবিধা নেন।