Thu. Sep 18th, 2025
Advertisements

19খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৬: সুনামির পাঁচ বছর পর জাপানে তিন দফা শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তর ইউএসজিএস এর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুমামতো ও কিয়েশু প্রদেশে প্রথম দফা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৪।
কিয়েশু পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দেশটির ইউকি শহর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে, ভূ-পৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এর ৪০ মিনিটের মাথায় ৫ দশমিক ৭ এবং মধ্যরাতের পর ৬ মাত্রার আরও দুটি ভূমিকম্প ওই অঞ্চলকে কাঁপিয়ে দিয়ে যায়।
প্রথম দফা ভূমিকম্পে সুনামি সতর্কতা জারির পর কোনো বিপদ না ঘটলেও কুমামতো ও কিয়েশু অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক বাড়ি-ঘর ধসে পড়ে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তাঘাট।
কোনো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ না হলেও সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্গত এলাকায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস বন্ধ হয়ে যায়।
কুমামতোর পুলিশ কর্মকর্তা হিরোনাকি কোসাকি জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তারা নয়জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী।
কুমামতোর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান তাকাউকি মাসুশিতা জানান, ওই শহরের প্রায় ৪৪ হাজার বাসিন্দাকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাজধানী টোকিওতে সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়াশিদে সুগা বলেন, “২০১১ সালের সুনামির পর এটি বড় ধরনের ভূমিকম্প। ১৯টি বাড়ি ধসে কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। আমরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছি।”
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসডিএফ) এর সাড়ে ৩ হাজার সদস্য রাত থেকেই উদ্ধার কাজে নিয়োজিত বলে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেন নাকাতানি জানিয়েছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে নয় শতাধিক আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আরও অনেকে আসছেন।
টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, ভূমিকম্পে রাস্তায় ফাটল ধরেছে, বেশ কিছু মঠ ও পুরনো একটি প্রাসাদ ধসে পড়েছে। কয়েকটি স্থানে আগুন লাগারও খবর পাওয়া গেছে।