Sat. Mar 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

44খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৬: বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল অভিনব উপায়ে এক টনেরও বেশি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে। ঠিকই শুনেছেন আপনি, শুধু স্বর্ণ নয়, এই তালিকায় আরো কিছু পদার্থ রয়েছে যেগুলো স্বর্ণের মতোই মূল্যবান।
অ্যাপলের অর্থ প্রয়োজন ছিলো। এ জন্য তারা বিকল্প কিছু উপায় ভাবছিল। সেই ভাবনা থেকেই তারা অব্যবহৃত আইফোন, আই প্যাড, ম্যাক রি সাইকেল করে স্বর্ণ উদ্ধার করে। বার্ষিক রিপোর্টে সে কথাই জানিয়েছে অ্যাপল।
এতে পাওয়া গেছে মোট ২ হাজার ২০৪ পাউন্ড স্বর্ণ! ঐ পরিমাণ স্বর্ণের দাম কতো বলুন তো? ৪০ মিলিয়ন ডলার। একেই হয়তো বলে, কৈ-এর তেলে কৈ ভাজা। ইলেকট্রনিক্সে স্বর্ণ ব্যবহার করা হয় কারণ এটি বস্তুর ক্ষয় রোধ করে। আর এটি খুব ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী। রূপা সবচেয়ে ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী হলেও এটি সহজে ক্ষয় হয়ে যায়। কপার কম দামী, তবে এটি কম্পিউটিং কাজে ইলেকট্রনকে খুব ধীর গতিতে প্রভাবিত করে।
অ্যাপল জানিয়েছে, গত বছর রি সাইক্লিং পদ্ধতিতে উদ্ধার করা ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে ৬১ মিলিয়ন পদার্থ আবারো ব্যবহার করা যাবে। অবশ্য ঐ সব পদার্থের মধ্যে স্বর্ণ তুলনামূলকভাবে খুব অল্পই ব্যবহার করা হয়েছিলো। তবে যেহেতু এখন বাজারে স্বর্ণের দাম অনেক, তাই বিন্দু বিন্দু করে সিন্ধু গড়ার প্রয়াসটা ভালোই করেছে অ্যাপল।
প্রতিষ্ঠানটি আরো জানিয়েছে, তারা ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে ২৩ মিলিয়ন পাউন্ড স্টিল, ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড প্লাস্টিক, ১২ মিলিয়ন পাউন্ড কাঁচ, ৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড অ্যালুমিনিয়াম, ৩ মিলিয়ন পাউন্ড তামা ও ৬ হাজার ৬০০ পাউন্ড রূপা উদ্ধার করেছে। এ কাজে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহার করেছে ‘লিয়াম’ নামের বেশ কিছু বিশেষ রোবট। যেগুলো প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি আই ফোনের যন্ত্রাংশ খুলে সেগুলো থেকে স্বর্ণসহ অন্য দামি পদার্থ সংগ্রহ করতে পারে। এই রোবটগুলো কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া আর নেদারল্যান্ডসে। এটি রি সাইক্লিংয়ের কাজে একটা এক্সপেরিমেন্ট, যা অন্য সব প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করতে পারে বলেও মনে করে অ্যাপল।
গত কয়েক বছর ধরে নিজেদের সামগ্রী রি সাইকেল করার কাজটি ভালোভাবেই করছে অ্যাপল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এ ক্ষেত্রে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আর রি সাইকেল করা ফোন থেকে সংগ্রহ করা বেশিরভাগ পদার্থই পুনরায় ব্যবহার করে তারা। এ কারণে পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে নতুন করে ঐ সব পদার্থ তুলে আনতে হয় না। কর্তৃপক্ষ এটা নিশ্চিত করেছে যে, ঐ সব পদার্থ যথাযথভাবেই রি সাইকেল করা হয়, যাতে সেগুলো মানুষের শরীর বা পরিবেশের কোনো ক্ষতি করতে না পারে।