খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৬: একটি ট্যাব কিংবা ল্যাপটপ হয়তো স্বপ্নপূরণ করতে পারবে রাখির। সেই স্বপ্নপূরণের যন্ত্রটি হাতে পেয়ে গেছে ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের কৃষক মহিদুল ইসলামের মেয়ে রোকাইয়া আক্তার রাখি। এত দিন কোনো কম্পিউটার, ট্যাব ছাড়াই শুধু মায়ের কাছে থাকা কমদামি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করে সি প্রোগ্রামিংয়ের প্রাথমিক বিষয়গুলো শিখে ফেলে মহেশপুর পৌর ল্যাবরেটরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রাখি। শুধু তা–ই নয়, ৭ এপ্রিল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্বে জুনিয়র ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করে সে।
রাখির এই প্রচেষ্টা নিয়ে ১২ এপ্রিল প্রথম আলো অনলাইন সংস্করণে ‘কম্পিউটার ছাড়াই রাখির কীর্তি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই সংবাদ পড়ে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মোহাম্মদ ইসলাম রাখির জন্য একটি ট্যাবের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি রাখিকে দ্রুত একটি ল্যাপটপ উপহার দিতে চেয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার মহেশপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল বারী, রাখির স্কুলের প্রধান শিক্ষক খায়রুল আনাম ও স্থানীয় সাংবাদিক নাসির উদ্দিনের উপস্থিতিতে রাখির হাতে ট্যাবটি তুলে দেওয়া হয়।
রাখির ভাষ্য, বাবা গরিব বলে ল্যাপটপ বা ট্যাব কিনে দিতে পারেননি। মায়ের ফোন ব্যবহার করে সে প্রোগ্রামিং শিখেছে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। ২৪ এপ্রিল ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিতে ঢাকায় যাবে সে।
জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজকেরা জানিয়েছেন, দেশের হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী করে তুলতে এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সারা দেশের ১৬টি অঞ্চলে আয়োজন ‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৬’ আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। প্রতিযোগিতায় প্রোগ্রামিং ছাড়াও আইসিটি কুইজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৬ অঞ্চলের বিজয়ীদের নিয়ে শুরু হচ্ছে জাতীয় পর্ব।