Sun. Sep 21st, 2025
Advertisements

37খোলা বাজার২৪,শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০১৬: বিশ্বজুড়ে হ্যাকাররা বিভিন্ন সময় ওয়েবসাইট হ্যাক করে থাকে। তথ্য চুরি বা বড় ধরনের অপরাধের জন্য হ্যাকিংগুলো করা হয়ে থাকে। হ্যাকিংয়ের এই পরিমাণ কেমন সে সম্পর্কে একটি ধারণা দিয়েছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল।
গুগল এবং ইউসি বার্কলের যৌথ গবেষণায় বলা হয়েছে, গত বছর অর্থ্যাৎ ২০১৫ সালে বিশ্বজুড়ে সাত লাখ ৬০ হাজার ৯৩৫টি ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে।
২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য নিয়ে গুগল এই গবেষণা পরিচালনা করে।
গুগলের সেফ ব্রাউজিং অ্যালার্টের সহায়তায় এই সংখ্যা নিরুপণ করা হয়েছে। এটি এমন একটি সেবা যার মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করা হলে সেই ওয়েবসাইটের নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের কাছে নোটিফিকেশন পৌঁছে দেওয়া হয়।
গুগলের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেফ ব্রাউজিং অ্যালার্ট থেকে নোটিফিকেশন পাওয়ার পর ৮০ শতাংশ ওয়েবসাইট দ্রুত উদ্ধার করা গেছে। অর্থ্যাৎ গুগলের কাছ থেকে নোটিফিকেশন পেয়ে হ্যাকিংয়ের প্রথম ধাপেই ওয়েবসাইটগুলো পুনুরুদ্ধার করতে পেরেছেন সাইট অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, প্রথমবার হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর পরবর্তী এক মাসের মধ্যেই আবারো একই ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করে হ্যাকাররা। প্রথমবার ব্যর্থ হওয়ার পর হ্যাকারার ১২ শতাংশ ওয়েবসাইটে আবারো হামলা চালায়।
ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পাঁচ বছর আগে গুগল তাদের সেফ ব্রাউজিং অ্যালার্ট সেবাটি চালু করে। এই মাসের শুরুতে এই ব্রাউজিং অ্যালার্টকে আরো আধুনিক করেছে গুগল। বিভিন্ন অযাচিত ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যারের ইউআরএলকে গুগলের ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রাখা হয়েছে।
সফটওয়্যার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ড মাইক্রো জানিয়েছে, ২০১৪ সালের তুলনায় অ্যানড্রয়েড ম্যালওয়ারের পরিমাণ ২০১৫ সালে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তাই হ্যাকিং ঠেকাতে ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিবছর নতুন করে আপগ্রেড করতে হচ্ছে।