খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৬: ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, এক সময় আমরা মোবাইল হ্যান্ডসেট আইএমইআই নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় যাব, তবে আপতত নয়, আপাতত আমরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের কাজটি শেষ করতে চাই। আজ শনিবার ওয়েস্টিন হোটলে টেলিযোগাযোগ খাতের প্রতিবেদকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
বাজারে অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধে একটি আইএমইআই ডেটাবেইজ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মাসখানেকের মধ্যে বিটিআরসি’র মাধ্যমে একটি সার্ভারে সফরটওয়্যারের মাধ্যমে আইএমইআই ডেটাবেউজ মেইনটেইন করার জন্য ইনস্টল করবো। বিটিআরসি’র ওয়েব সাইটে গেলে গ্রাহকরা তাদের আইএমইআই নম্বরটি দেখতে পারবেন, এই নম্বর যাচাই করতে পারবেন এসএমএস এর মাধ্যমেও। আইএমইআই নম্বর হলো ১৫ ডিজিটের একটি স্বতন্ত্র সংখ্যা যা বৈধ মোবাইল ফোনে থাকে। একটি মোবাইল ফোনের কি-প্যাডে *#০৬# পরপর চাপলে ওই ফোনের বিশেষ এই শনাক্তকরণ নম্বর পর্দায় ভেসে ওঠে, যা নকল হ্যান্ডসেটে থাকে না।
সিম নিবন্ধনের যে ব্যাপক উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে এর সাথে সাথে আইএমইআই রেজিস্টেশন সম্ভব হবে না জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, এতে মানুষ অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত বোধ করবে, সাধারণ মানুষের সেন্টিমেন্টকে গুরুত্ব দিতে হয়, সাধারণ গ্রাহক আসল বলেই হ্যান্ডসেট কিনেছে, নকল হওয়ার কারণে কেন তা বন্ধ হবে এবং নিরপরাধ ব্যক্তি কেন শাস্তি পাবে। এজন্য প্রাথমিকভাবে ডেটাবেইজটা করতে চাচ্ছি।
টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদ বলেন, বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়া অনেক হ্যান্ডসেট বাজারে আসছে। অবৈধ হ্যান্ডসেট রোধ করতে একক বিটিআরসি বা কাস্টমস করতে পারে না। সামগ্রিম চেষ্টা করতে হবে। এজন্য বিটিআরসিকে সামনে রেখে কাস্টমস্, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে একটি কমিটি করে কীভাবে এগানো যায় তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।