Sun. Mar 16th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

15খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৬:  একাকিত্ব শুধু নির্জনতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝেই হয় না, চারপাশে বহু মানুষ থাকার পরও একাকিত্ব আসতে পারে। নানা কারণেই আমরা একাকিত্বে ভুগতে পারি। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে অন্যের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়া, সামাজিকতায় উদ্বেগ বা ভীতি, অতিরিক্ত কাজের চাপ, ইন্টারনেট আসক্তি ইত্যাদি। তবে কেউ যদি একাকিত্বে আক্রান্ত হন তাহলে তাই শেষ কথা নয়। কিছু উপায় অবলম্বন করে এ সমস্যা কাটানো যায়। এ লেখায় দেওয়া হলো তেমন কিছু উপায়।
১. গ্রহণ করুন আপনার নিজের মানসিক অবস্থাকে গ্রহণ করুন। আপনার একাকিত্বকে মেনে নিন। সমস্যা মেনে নিলে তা সমাধানের উপায়ও আপনি হাতে পেয়ে যাবেন। কিন্তু সমস্যাটি যদি মানতেই না চান তাহলে তার সমাধানও কঠিন হয়ে পড়ে।
২. সামাজিক হোন আপনার যেমন মানুষ পছন্দ, যাদের সঙ্গে আপনার ভালো মিলে, তাদের সঙ্গেই বন্ধুত্ব করুন। তাদের সঙ্গে আপনার ভালোলাগার বিষয়গুলো বিনিময় করুন।
৩. যোগাযোগ করুন পরিচিত বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কিংবা সরাসরি কথা বলুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইমেইল কিংবা মোবাইল ফোনের বার্তা নয়, সরাসরি কথা বলুন।
৪. স্বেচ্ছাসেবী হোন সাহায্যের প্রয়োজন এমন মানুষদের জন্য স্বেচ্ছাশ্রম দিন। কোনো প্রতিদানের আশা না করে দুর্গতদের জন্য শ্রম দিতে পারলে তা আপনার মন অনেক ভালো করবে। এটি সামাজিকতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।
৫. ইতিবাচক হোন কোনো বিষয়কে হতাশাজনক দৃষ্টিতে না দেখে বরং ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখুন। গ্লাসের অর্ধেকটা পানি থাকলে তা অর্ধেক খালি হিসেবে নয় বরং অর্ধেক ভরা হিসেবেই দেখুন। নানা ব্যক্তির উৎসাহমূলক বক্তব্য শুনুন এবং আপনার মনের নেতিবাচকতা কাটিয়ে উঠুন।
৬. গ্রহণ করুন বেঁচে থাকতে হলে এ বিষয়টি মেনে নিতেই হবে যে, পৃথিবী বহু ধরনের মানুষে পরিপূর্ণ। আর এখানে আপনার মনের মতো মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তাদের আপনি পাল্টাতে পারবেন না। তবে কিছুটা নমনীয় হলেই তাদের মেনে নিতে পারবেন।
৭. ভাগ্য গড়তে হয় অনেকেই নিজের ভাগ্য খারাপ বলে হতাশ হয়ে বসে থাকেন। যদিও ‘ভাগ্য খারাপ’ বলে কোনো কথা নেই। একথা জেনে রাখতে হবে যে, ভাগ্য আপনার হাতেই রয়েছে। সঠিক কাজের মাধ্যমে যেমন আপনি আপনার ভাগ্য গড়ে তুলতে পারেন তেমন একে হেলাফেলা করে নষ্টও করতে পারেন।
৮. থেরাপি ওপরের সবগুলো পদ্ধতি যদি কাজ না করে তাহলে সমস্যা সমাধানের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ভালো কোনো মনোবিদের শরণাপন্ন হয়ে থেরাপি নেওয়া যেতে পারে। –হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে