Thu. Sep 18th, 2025
Advertisements

41kখোলা বাজার২৪, রোববার, ১৫ মে ২০১৬: শহরের জবীবন অনেক ব্যস্তের, তাই কাজের চাপে রোজ রোজ রান্না করা প্রায় কোনো বাড়িতেই সম্ভব হয় না। এক দিন রান্না করে দু’তিন দিন ফ্রিজে রেখে খাবার গরম করে প্রায় সকলেই খাই। এতে সময় যেমন বাঁচে, তেমনই এক সঙ্গে রান্না করে রাখার ফলে গ্যাসের খরচও বাঁচে। তবে জানেন কি কিছু কিছু খাবার টাটকা খাওয়াই ভাল? বার বার গরম করলে পুষ্টিগুণ তো নষ্ট হয়ই, শরীরের মারাত্মক ক্ষতিও হতে পারে। এমনকী শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যান্সারের মতো মারাক্তকসব রোগও।
পালং শাক বা লেটুস : প্রচুর পরিমাণ আয়রন ও নাইট্রেট থাকার কারণে গরম করলে নাইট্রেট নাইট্রাইটে পরিণত হয় যা কার্সিনোজেনিক।
বিট : পালং শাকের মতোই আয়রনে পরিপূর্ণ বিট। টাটকা রান্না বিট যতটা স্বাস্থ্যকর, ফ্রিজে রেখে গরম করা বিট হতে পারে ততটাই ক্ষতিকারক।
মাশরুম : মাশরুম কাটার সঙ্গে সঙ্গেই প্রোটিন খারাপ হতে থাকে। এই কারণেই মাশরুম বিশেষ ভাবে প্রসেস করে রাখা হয়। কাটার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টাটকা মাশরুম রান্না করে খান। ফ্রিজে রেখে দিলেই বিপদ।
ডিম : প্রোটিনের পাওয়ার হাউজ বলা হয় ডিমকে। সেদ্ধ হোক বা ডিমের ডালনা, ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা ডিম গরম করলে টক্সিন উৎপন্ন হয়। হজমের সমস্যা হয়।
আলু : আলু যদি রান্না করে ফ্রিজে রাখতে চান তা হলে গরম অবস্থাতেই ফ্রিজে রাখুন। ঘরের তাপমাত্রা আনতে গেলে বাউটিলিসম নামের এক রকম বিরল ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। এই বাউটিলিসম মাইক্রোওয়েভের গরম মরে না। তাই আলু যদি ফ্রিজে রেখে খেতেই হয় গরম অবস্থাতেই রাখুন।
ভাত : চাল কী ভাবে রাখছেন তার উপর নির্ভর করে ভাতের গুণ। চালের মধ্য অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়।
ভাত রান্নার পরও সেই ব্যাকটেরিয়া থাকে যায়। বেশি ক্ষণ ভাত রেখে দিলে এই ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়। গরম করলেও পুরোপুরি মরে না।
চিকেন : প্রোটিনে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যকর চিকেন যখন রেফ্রিজরেটরে রাখা হয় তখন পুরো প্রোটিন কম্পোজিশনটাই বদলে যায়। এই চিকেন গরম করে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই ফ্রিজে রেখে যদি খেতেই হয় তাহলে চিকেন রান্নার সময় ভাল করে সেদ্ধ করুন।
তেল : অনেকেই রান্নার সময় তেল বেশি হলে কড়াই থেকে তুলে রাখেন। পরে সেই তেলেই আবার রান্না করে।
এটা সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন। এ ভাবে গরম করা তেল স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।