Sun. Mar 16th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

17kমুহম্মদ জাফর ইকবাল ।।  খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২১ মে, ২০১৬: এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার দিনটি আসলে সারা দেশের জন্য একটি আনন্দের দিন, সারা দেশেই মিষ্টি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়! সরকার থেকে ছেলেমেয়েদের পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেওয়ার অলিখিত নিয়ম করে দেওয়ার পর আনন্দের পরিধিটা আরো অনেক বেড়েছে। এই আনন্দের দিনটিতেও আমি এক ধরনের আশঙ্কা অনুভব করি। কারণ আমি জানি কারো না কারো পরীক্ষার ফলাফল মনের মতো হবে না। তখন সেই কম বয়সী আবেগপ্রবণ ছেলে বা মেয়েটি যা কিছু একটা করে ফেলতে পারে। এবারের পরীক্ষার পর আমার আশঙ্কাটা আবার সত্যি প্রমাণ হলো, খবরের কাগজে দেখতে পেলাম বরিশালে সর্বজিৎ ঘোষ হূদয় নামে এক কিশোর সাত তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। খবরটি পড়ে আমার বুকটা ভেঙে গিয়েছিল।
কিন্তু এরপর যখন আরো কিছু খবর পেলাম তখন দুঃখের সঙ্গে সঙ্গে বুকের ভেতর অসহনীয় এক ধরনের ক্ষোভের জন্ম নিল। আমরা জানতে পেলাম সর্বজিৎ জানত সে হিন্দু ধর্ম পরীক্ষায় ফেল করেছিল, তাই সে আত্মহত্যা করেছিল। আসলে সে পরীক্ষায় ফেল করেনি। বরিশাল বোর্ডের কোনো এক ধরনের অব্যবস্থার জন্য হিন্দু ধর্ম পরীক্ষার ফলাফল ঠিক করে প্রক্রিয়া করা হয়নি। শুধু সর্বজিৎ নয়, সম্ভবত পাঁচ হাজার ছেলেমেয়ের পরীক্ষার ফলাফল ভুল এসেছে। ফলাফল শুদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বী অসংখ্য ছেলেমেয়ে এক ধরনের যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
যখন মন খারাপ হওয়ার ঘটনা ঘটে তখন কিভাবে কিভাবে জানি একসঙ্গে অনেকগুলো মন খারাপ করার ঘটনা ঘটে। একই সময়ে দ্বিতীয় মন খারাপ করা ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে। একজন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে আক্রমণ করে তাঁকে শুধু যে হেনস্তা করা হয়েছে তা নয়, তাঁকে কানে ধরে উঠবোস করতে বাধ্য করা হয়েছে। অনলাইনে তার ভিডিও আছে, সেখানে একবার ‘ক্লিক’ করলেই সেটা দেখা সম্ভব হতো। কিন্তু আমার পক্ষে সেটা দেখা সম্ভব না। একজন শিক্ষক হয়ে আমি আরেকজন শিক্ষকের এত বড় অবমাননার দৃশ্য দেখতে পারব না। যারা দেখেছে তাদের কাছে শুনেছি ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মাঝে এ কে এম সেলিম ওসমান নামে একজন সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে তাঁকে এই অবিশ্বাস্য অপমানটি করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ সুপার বলেছেন কোনো ‘আইন ভঙ্গ’ হয়নি, তাই তাঁর কিছু করার নেই। আজকে খবরে দেখলাম আইনমন্ত্রী বলেছেন, যারা কান ধরে উঠবোস করিয়েছেন তাঁদের শাস্তি হবে—আমরা কার কথা বিশ্বাস করব?
যখন খবরটি আরেকটু প্রচার হয়েছে তখন আমরা জানতে পেরেছি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার একটি অভিযোগ এনে তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে। এ ধরনের আক্রমণ করে মানুষকে মেরে ফেলা এখন আর খুব বিস্ময়ের ব্যাপার নয়। তাই প্রধান শিক্ষক যে প্রাণে বেঁচে আছেন, সেটি নিয়েই আপাতত সান্ত্বনা পেতে হচ্ছে। ধর্ম অবমাননার কথাটি মাইকে ঘোষণা করে মানুষ জড়ো করা হয়েছে। সবচেয়ে বিস্ময়ের কথা হচ্ছে, মসজিদের মুয়াজ্জিন মোটেও মাইকে এ ধরনের কথা ঘোষণা করতে চাননি। তাঁর কথা না শুনেই মাইকে কোনো একজন প্রচার করে দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত বলেছেন তিনি মোটেও ধর্মকে অবমাননা করে কিছু বলেননি। তাঁকে কোনো একটি দুর্নীতি করতে বলা হয়েছিল, তিনি করতে রাজি হননি, সেটাই হচ্ছে তাঁর অপরাধ।
একজন মানুষকে অপমান করার অধিকার কারো নেই, একটি সভ্য সমাজ কখনোই সাধারণ মানুষ দূরে থাক, একজন অপরাধীকেও এভাবে জনসমক্ষে অপমান করতে পারে না। কিন্তু একজন সংসদ সদস্য কিছু মানুষকে নিয়ে একটা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একজন শিক্ষককে এত বড় অপমান করতে পারেন সেটি বিশ্বাস করা কঠিন। আমি নিজে একজন শিক্ষক, আমি জানি আমাদের দেশের সব শিক্ষকের কাছে মনে হয়েছে এটি তাঁর নিজের অপমান। শ্যামল কান্তি ভক্তকে একা কান ধরে উঠবোস করানো হয়নি, এ দেশের সব শিক্ষককে একসঙ্গে কানে ধরে উঠবোস করানো হয়েছে। যে দেশে একজন শিক্ষককে প্রকাশ্যে এভাবে শাস্তি দিয়ে অপমান করা হয়, সেই দেশ যদি অর্থবিত্ত, সম্পদ, ক্ষমতায় পৃথিবীর সর্বোচ্চ আসনেও উঠে যায়, তার পরও সেটি পৃথিবীতে পরিচিত হবে একটি অসভ্য বর্বরের দেশ হিসেবে। সারা দেশে তাই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে—অল্প কিছু অসভ্য বর্বর মানুষকে সারা দেশের সব মানুষের মুখে কালিমা লেপন করতে দেওয়া যাবে না। আমরা পৃথিবীতে সভ্য মানুষ হিসেবে পরিচিত হতে চাই।
একজন শিক্ষককে ধর্মের অবমাননার দোহাই দিয়ে শাস্তি দেওয়ার উদাহরণ মোটেও নতুন নয়। মাত্র কিছুদিন আগে বাগেরহাটে কৃষ্ণপদ মাহালি এবং অশোক কুমার ঘোষাল নামে দুজন শিক্ষককে হুবহু এই একই অপরাধে ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়েছে। তনু হত্যার বিচার দিনের পর দিন আটকে থাকে কিন্তু ধর্ম অবমাননার শাস্তি দেওয়া হয় তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল কোর্টে। কী তাদের অপরাধ, কিভাবে একই স্কুলের একজন শিক্ষক এবং সেই একই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এই শাস্তি পেতে হলো আমরা কিছুই জানি না। এ দেশের কোন আইনে কেমন করে একজন মানুষের সঠিক বিচার না করে ছয় মাসের জেল দিয়ে দেওয়া যায় আমার মোটা মস্তিষ্কে সেটা বোঝাও সম্ভব নয়। শুধু এটুকু জানি, এখন ‘ধর্ম অবমাননার’ কথা বলে যেকোনো মানুষকে চরম বিপদে ফেলে দেওয়া যায়। সেই মানুষটি যদি হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়, তাহলে কাজটি আরো সহজ। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ‘ধর্ম অবমাননা’ এবং ‘মানুষের মনে আঘাত’ দেওয়া নামে দুটি বহু পুরনো বিষয়কে একেবারে নতুন মোড়কে সবার সামনে হাজির করবে। এই সরকার এখন হেফাজতে ইসলাম থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে থাকতে রাজি নয়।
ধর্ম অবমাননার কথা বলে শুধু রাষ্ট্রীয় শাস্তি পেয়েও একজন মানুষের মুক্তি নেই। টাঙ্গাইলের নিখিল জোয়ার্দার নামে একজন দর্জি এ রকমভাবে ধর্ম অবমাননার জন্য ছয় মাসের জেল খেটে বের হয়ে আসার পর তাঁকে একদিন চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলা হলো। সেই হতভাগ্য মানুষটি বারবার বলেছেন তিনি মোটেও ধর্ম নিয়ে কোনো কটূক্তি করেননি। বাগেরহাটের যে দুজন শিক্ষক এখন জেল খাটছেন, জেল থেকে বের হওয়ার পর তাঁদের দুজনকেও কি নিখিল জোয়ার্দারের মতো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার একটা লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হলো না?
স্কুলের ছাত্র তাদের শিক্ষকের নামে বাসায় এসে অভিযোগ করা হলে অভিভাবকরা দলবেঁধে স্কুলে চড়াও হয়ে একজন শিক্ষকের জীবন শেষ করে দিতে পারে। অভিযোগটি প্রমাণ করার কোনো প্রয়োজন নেই, অভিযোগ থাকলেই যথেষ্ট। আমরা এখন এটি কোন ধরনের সমাজ তৈরি করেছি? এত দিন পাকিস্তানে এগুলো ঘটতে দেখেছি, আমাদের দেশে আমরা কী সেই পাকিস্তানের কালচার আমদানি করার চেষ্টা করছি?
২.
সর্বজিৎ নামে যে কিশোরটি মনের দুঃখে আত্মহত্যা করেছে, তার হিন্দু ধর্ম পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছিল। বিষয়টি নিশ্চয়ই ইচ্ছাকৃত নয়, কিন্তু এটা নিশ্চয়ই মিথ্যা নয় যে অন্য কোনো বিষয়ের পরীক্ষা হলে কেউ এত বড় অবহেলা করার সাহস পেত না। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করে তাদের আলাদাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এটি একটি ষড়যন্ত্র। তাহলে কি তাদের দোষ দেওয়া যাবে? আমরা তো সবাই দেখেছি এ দেশে ভিন্ন ধর্মের মানুষ হলে নানা ধরনের পীড়ন সহ্য করতে হয়। এখন তারা দেখছে শুধু অবমাননা আর অবহেলা নয়, শুধু ভিন্ন ধর্মের মানুষ হওয়ার জন্য তাদের প্রাণও দিতে হচ্ছে। তাহলে তারা কি হতাশাগ্রস্ত অনুভব করতে পারে না? জগেশ্বর দাস অধিকারী নামে একজন হিন্দু পুরোহিতকে কিছুদিন আগে হত্যা করা হয়েছে। বান্দরবানের একটি উপাসনালয়ের একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। এর আগে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত একজন খুন হয়েছেন। শিয়া হোমিওপ্যাথ ডাক্তার খুন হয়েছেন। ধর্মান্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে কিন্তু যদি তুলনা করি, তাহলে দেখি ভিন্ন ধর্মের খুন হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। দেশের ১০ শতাংশের মতো মানুষ কিন্তু খুন হওয়ার বেলায় তাদের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ। এর কারণটি কী?
কারণটি আমরা অনুমান করতে পারি, যারা খুন করে তাদেরও একটা হিসাব আছে। এ দেশে যেহেতু ভিন্ন ধর্মের মানুষকে এক ধরনের অবহেলা সহ্য করতে হয়, তাই তাদের খুন করা সহজ। ধর্মের অবমাননা করার অভিযোগ কিন্তু জঙ্গিদের মুখ থেকে আসে না। এই অভিযোগ আসে তাদের আশপাশ থেকে, শিক্ষকের বেলায় ছাত্রদের অভিভাবকের কাছ থেকে। সর্বশেষ ঘটনার বেলায় শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগটিতে ধর্মের অবমাননার বিষয়টি ছিল না। কিন্তু সেই অভিযোগটির কথা বলে তাকে চূড়ান্ত অপমান করে দেওয়া হলো। কাজেই নারায়ণগঞ্জের ঘটনাটি শুধু একজন বিকৃত রুচির সংসদ সদস্যের তাণ্ডব ছিল না, একই সঙ্গে সেটি ছিল এ দেশের ভিন্ন ধর্মের মানুষের ওপর আক্রমণ।
আমাদের সবারই পরিচিতজন আছে, যারা এ দেশের সংখ্যালঘু ধর্মের মানুষ। তাদের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলে দেখেছি, তারা সবাই দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেছেন, এ দেশে তারা এক ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। শুধু যে বড় ধরনের বৈষম্য তা নয়, দৈনন্দিন জীবনে অসংখ্য ছোটখাটো বৈষম্য, অসংখ্য মন খারাপ করা ঘটনা। একটি দেশ কেমন চলছে সেটা বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে সে দেশের সংখ্যালঘু মানুষদের জিজ্ঞেস করা তারা কেমন আছে। তারা যদি বলে যে তারা ভালো আছে, তাহলে বুঝতে হবে দেশটি ভালো চলছে। আমাদের দেশে সংখ্যালঘু মানুষেরা ভালো নেই।
তাই আমরা যদি শুধু ধর্মান্ধ জঙ্গিদের মূলোৎপাটনের কথা বলি, তাহলে হবে না। আমাদের একই সঙ্গে নিঃশব্দে যে সাম্প্রদায়িক মনোভাবের জন্ম হচ্ছে, সেটাকেও থামাতে হবে। আমার কেন জানি মনে হয় ধর্মান্ধ জঙ্গিদের থেকেও বুঝি নিঃশব্দে জেগে উঠা সাম্প্রদায়িক মনোভাবটুকু আরো অনেক বিপদের। এর বিস্তৃতি অনেক বেশি হওয়া সম্ভব, এর গভীরতাও অনেক বেশি হওয়া সম্ভব। একটা সময় ছিল যখন রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক দলগুলো অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করত। এখন রাজনৈতিক দলের এটি নিয়ে মাথাব্যথা নেই, তাদের প্রয়োজনও নেই, সাংস্কৃতিক দলগুলোও কেমন জানি চুপচাপ হয়ে যাচ্ছে। ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক দলগুলো কিন্তু চুপ করে নেই, তারা কাজ করে যাচ্ছে। উনিশ শ একাত্তরের অভূতপূর্ব বিজয়ের পর মাত্র চার বছরের ভেতর যদিও পরাজিত শক্তি ছোবল মারার মতো শক্তি পেয়ে গিয়েছিল, তাহলে এখন তাদের নিরুৎসাহিত হওয়ার কী কারণ আছে? একটা মাইকে যখন ঘোষণা করা হয় অমুক মানুষ ধর্মের অবমাননা করেছে, এত সহজে সবাই এটি কেন বিশ্বাস করে ফেলে? অভিভাবকরা কেন এত সহজে দলবেঁধে একজন নিরপরাধ শিক্ষকের ওপর চড়াও হয়? রামুর মতো জায়গায় কেন সাধারণ মানুষ মন্দির কিংবা উপাসনালয় পুড়িয়ে ফেলতে ছুটে আস্তে সাধারণ মানুষের ভেতর ধর্মের সেই শান্তির কথাটি কেমন করে সরিয়ে দিয়ে সেখানে একটা উগ্র অসহিষ্ণু ধর্ম জায়গা করে নিচ্ছে?
আমার মনে হয় আমাদের দেশটিকে যদি আমরা সত্যি সত্যি স্বপ্নের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, তাহলে শুধু পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়ে হবে না। দেশের মানুষকে আবার তাদের সব ধর্মের, সব মানুষের জন্য শ্রদ্ধাবোধ আর ভালোবাসার জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। সেটি এক দিনে হবে না—কিন্তু তার জন্য এখনই কাজ শুরু করতে হবে।
মাঝে মাঝে আমার মনে হয় আমি চিৎকার করে বলি, ‘বঙ্গবন্ধু, আপনি কোথায়? ৬০ বছর আগে আপনি আওয়ামী মুসলিম লীগকে আওয়ামী লীগে রূপান্তরিত করেছিলেন যেন এ দেশের সব মানুষকে আপনি আপনার পাশে নিতে পারেন।’
৬০ বছর পরও কেন আমরা সবাই সমানভাবে এ দেশের সব মানুষকে পাশে নিতে পারি না? কেন তার চেষ্টাও করি না?
পাদটীকা : এ লেখাটি শেষ করার পর জানতে পেরেছি প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করা হয়েছে, প্রধান শিক্ষককে পুনর্বহাল করা হয়েছে। এই দ্রুত সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
তবে আমরা এখনো অপেক্ষায় আছি যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখার জন্য।