Fri. Sep 19th, 2025
Advertisements

49খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২১ মে, ২০১৬: হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে সনদ দিয়েছেন। ৫৯ বছর বয়সী নারীর শেষকৃত্যের আয়োজন শুরু করলেন স্বজনরা। তাঁকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন কয়েকজন। পথে বেঁচে ওঠেন ওই নারী। শেষকৃত্যের বদলে ফের তাঁকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মহীশুরের আগ্রাহারা এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহীশুরের মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা পদ্মাভাই লোধা নামের এক নারীকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর স্বামী মহেন্দ্র লোধা। তাঁদের সংসারে আছে এক ছেলে ও দুই মেয়ে।
পদ্মাভাই লোধা জীবিত থাকার পরও মৃত ঘোষণায় মাল্টিস্পেশালিটির চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত গাফিলতি ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ উঠেছে। মহেন্দ্র লোধা বলেন, হাসপাতালের ভুলের কারণে তাঁর পরিবারে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে চলছিল। আর একটু হলেই পদ্মাভাই লোধাকে শ্মশানে নিয়ে পোড়ানো হতো। পুড়েই মৃত্যু ঘটত তাঁর স্ত্রীর।
পদ্মাভাই লোধার ভাইপো মনীষ লোধা বলেন, গত রোববার ভোরে হঠাৎ করেই তাঁর পিসি অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে দ্রুত স্থানীয় মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা পদ্মাভাই লোধার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং অন্যান্য জটিলতার কথা বলেন। ওই অবস্থায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। পরে চিকিৎসকরা পদ্মাভাইয়ের মৃত্যুর খবর জানান। এ কথা জানার পর স্বজনরা তাঁর শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করেন।
মনীষ লোধা আরো বলেন, অন্ত্যেষ্টির জন্য নেওয়ার পথে তাঁরা পদ্মাভাই লোধার শরীরে স্পন্দন বুঝতে পারেন। ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, উনি শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়ছেন এবং হৃদস্পন্দন হচ্ছে। তখনই পদ্মাভাইকে বহনকারী গাড়ির মুখ ঘুরিয়ে স্থানীয় অপর এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পদ্মাভাই লোধার পরিবার জানিয়েছে, তিনি পুরো সুস্থ হয়ে উঠলে মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।