খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬: বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমে রিস্টব্যান্ড জানিয়ে দেবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অবস্থা। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টেলিজেন্স এনভায়রনমেন্টস নতুন একটি প্লাটফর্ম চালু করেছে যাতে যোগ করা হয়েছে এই সুবিধা।
বিবিসি জানায়, ব্যাংকে জমানো অর্থের পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে নেমে গেলেই পাভলক রিস্টব্যান্ডটি বৈদ্যুতিক শক দিয়ে জানিয়ে দেবে, ফলে ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ করা থেকে বিরত থাকবেন বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়াও এটি স্মার্ট মিটার “নেস্ট” এর সঙ্গে সংযোগের মাধ্যমে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয়েও সহায়তা করবে।
তবে কোনো ব্যাংকই এখনও পর্যন্ত গ্রাহকদের জন্য ইন্টারেক্ট আইওটি (ইন্টারনেট ফর থিংস) প্লাটফর্ম ব্যবহারের ঘোষণা দেয়নি। তবে আগ্রহী কিছু ব্যাংকের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে নির্মাতা ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ডেভিড ওয়েবার বিবিসিকে বলেন, এই ধারণার ভিত্তিই ছিলো ভোক্তাদের ইচ্ছাধীন।
ওয়েবার জানান, তার মতে বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যাপারটি ব্যবহারকারীদের জীবনের দৃশ্যপটই পাল্টে দিতে পারে।
তিনি বলেন, “ট্যাবলেট ও স্মার্টফোন কয়েক বছর আগে যেমনটা ছিলো, ইন্টারনেট অফ থিংস ঠিক তেমনই পরিবর্তন এনে দেবে বলে আমার ধারণা।”
তিনি বলেন, “আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি কারো আচরণ সংক্রান্ত ব্যাপার এটি। ইচ্ছাশক্তি খুবই অসাধারণ একটি ব্যাপার, তবে সবার তা থাকে না।”
তবে এই ব্যাপারটি ব্যবহারকারীদের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেন তিনি। তিনি জানান, পাভলক রিস্টব্যান্ডের “শক” ফাংশন চাইলেই বন্ধ করে দেওয়া যাবে।
স্মার্ট মিটারের হোম হিটিং ব্যবস্থার স্বয়ংক্রিয় “ইকোনমি মোড” সম্পর্কে তিনি বলেন, “কেউ যদি ঘরের তাপমাত্রা বাড়াতে চায়, তবে তা আবার চালু করে দিতে পারে।”
এই প্লাটফর্মের নিরাপত্তা ও সম্ভাবনায় জোর দিয়ে তিনি বলেন, “সম্ভবত এ ধরনের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার পকেটের অবস্থার উপর ভিত্তি করে আপনার গাড়ি স্পোর্টস মোড থেকে ইকোনমি মোডে নেমে আসবে।”
এর কিছু অপ্রয়োজনীয় দিক থাকলেও এ বিষয়টির কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে এ প্লার্টফর্মটিকে ভালো চোখে দেখছেন না প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। সারে ইউনিভার্সিটির সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অ্যালান উডওয়ার্ড বলেন, “বিভিন্ন সিস্টেমের মধ্যে এমন সংযোগ থাকার মানে নিশ্চিতভাবেই অনিচ্ছাকৃত নিরাপত্তা ত্রুটি সৃষ্টি হওয়া। আমি জানি যে এই ধরনের প্রযুক্তি ভালো উদ্দেশ্যেই তৈরি হয়েছে, তবে তা ভুল দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি করা গেলেই যে তা করতেই হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।