Mon. Sep 22nd, 2025
Advertisements

30খোলা বাজার২৪, বুধবার, ০১ জুন ২০১৬: থানার মধ্যইে ওড়না দয়িে ফাঁস লাগালনে নারী পুলশিথানার মধ্যেই ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগালেন এক নারী কনস্টেবল। ঘটনা ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার গাইগাটায়।
পুলিশ জানাচ্ছে, মৃতার নাম সোমা ঘোষ। তার বয়স ২৭ বছর। গাইঘাটা থানার ফুলসরা গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে মঙ্গলবার সকাল ন’টার দিকে সোমা পৌঁছেন গাইঘাটা থানায়।
গত এক বছর ধরে ওই থানাতেই ছিল তার পোস্টিং। ডিউটি শুরুর আগে তিনি তার নারী কর্মীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ হাসি-ঠাট্টা, গল্পগুজব করেন।
এরপর পুলিশের উর্দি পরার জন্য থানায় নারীদের বিশ্রামাগারে যান সোমা। তারপর বেশ কিছুক্ষণ সোমার সাড়াশব্দ না শুনে তারই এক মহিলা সহকর্মী সোমার খোঁজ করতে যান বিশ্রামাগারে।
গিয়ে দেখেন, ভেতর থেকে ঘরের কাচের দরজা বন্ধ। তার পর ঘরের জানালা ভেঙে দেখা যায়, সোমা ওড়নার ফাঁস জড়িয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন।
সঙ্গে সঙ্গে অন্য সহকর্মীরা ছুটে এসে সোমাকে নিয়ে যান বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সেই খবর শুনে গাইঘাটা থানার আরেক কনস্টেবল, সোমার সহকর্মী স্মৃতি মণ্ডল অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তাকে চাঁদপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।
উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরুণ হালদার বলেছেন, সোমা অনেকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। ২০১২ সালে তার বিয়ে হয়।
সোমার একটি শিশুপুত্র রয়েছে। তার স্বামী পার্থ ঘোষ ঝাড়গ্রাম জিআরপিতে কর্মরত। ভোটের সময় সোমাকে উত্তরবঙ্গে পাঠানো হয়েছিল ডিউটিতে।
কিন্তু সেখানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাঁকে তড়িঘড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছিল গাইঘাটা থানায়।
তবে গাইঘাটা থানার রামপুর গ্রামে সোমার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই সোমার ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল তার শ্বশুরবাড়িতে।