খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০১৬: গত বছরেই পরিচালকের অদ্ভুত দাবির মুখোমুখি হয়েছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। ‘ফিতুর’ ছবিতে পরিচালক অভিষেক কাপুর চেয়েছিলেন, আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে একটু বেশিই খোলামেলা হবেন ক্যাটরিনা। আবার, আদিত্যর সঙ্গেই ‘ওকে জানু’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে ঠিক এক দাবির মুখে পড়তে হয় শ্রদ্ধা কাপুরকে। ‘আজহার’ ছবির শুটিংয়ের সময়ে নার্গিস ফাখরিরও প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চুমু খেতে হয় ইমরান হাশমিকে। আর বাল্কির ‘কি অ্যান্ড কা’ ছবিতেও কারিনা কাপুর খানের কাছে চিত্রনাট্য-বহির্ভূত সেক্সুয়াল দৃশ্য শুটের দাবি করা হয়।
বলিউডে কি তাহলে নায়িকারা এখনও বিপন্ন! এই প্রশ্নের জবাবে চিত্রাঙ্গদা সিং জানালেন এক ভয়াবহ সত্য। তাকে এক ছবিতে জোরপূর্বক সেক্স করতে বলেছিলেন পরিচালক। ছবির নাম ‘বাবুমশাই বন্দুকবাজ’। তিনি আর নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এক অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিং করছিলেন। কথা ছিল, দৃশ্যটিতে শুধুমাত্র বিছানায় শুয়ে পড়া পর্যন্ত দেখানো হবে। ছবিটার চিত্রনাট্য যখন পরিচালক কুষাণ নন্দী নায়িকাকে শুনিয়েছিলেন, তখনও চিত্রাঙ্গদা আঁচ করতে পারেননি ব্যাপারটা কত দূর এগোতে চলেছে। কেন না, চিত্রনাট্যে ছিল, নওয়াজ জোর করে বিছানায় টেনে নিয়ে যাবেন চিত্রাঙ্গদাকে। আছড়ে ফেলবেন, তার পর চড়ে বসবেন তার উপরে, ব্যস, এটুকুই! নায়িকারও তাই আপত্তি ছিল না। যথাসময়ে শট দিতে স্টুডিওতে পৌঁছেও গিয়েছিলেন তিনি। লাইট, ক্যামেরার পর শুরুও হয়ে যায় এই সেক্সুয়াল অ্যাকশন।
সমস্যা দেখা দিল তার পরেই। শটটা উতরে দিয়ে যখন চিত্রাঙ্গদা বিছানা থেকে নেমে এলেন, ঠিক তার পরেই নায়িকাকে অবাক করে দিয়ে পরিচালক বললেন, ‘নেমে এলে কেন? এখনো তো শট বাকি আছে! যাও, সেক্স করো।’ স্বাভাবিক ভাবেই অবাক হয়েছিলেন চিত্রাঙ্গদা। চিত্রনাট্যে যা নেই, তা কেন শুট করতে হবে- প্রশ্নটা পরিচালককে করতেই শুরু হয় জোর। রগরগে একটা দৃশ্য শুট করতেই হবে। তাতেই রেগে যান নায়িকা। কিন্তু, পরিচালক তার যুক্তি শুনতে নারাজ। নোংরা ভাষায় চিত্রাঙ্গদাকে অপমান করেন পরিচালক। বলেন, ‘টাকা যখন তিনি নিচ্ছেন, তখন সব করতেই হবে।’ এর পর থাকতে পারেননি চিত্রাঙ্গদা। শুটিং ছেড়ে বেরিয়ে যান।