Tue. Sep 23rd, 2025
Advertisements

17খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৯ জুন ২০১৬: বাবা ভরসা ও ছায়ার নাম। পরম নির্ভরতার নাম। সন্তানের জন্য কী-ই না করেন তিনি!
আজ বিশ্ব বাবা দিবস। ভাষাভেদে শব্দ আর স্থানভেদে বদলায় উচ্চারণ, তবে বদলায় না রক্তের টান। দেশ থেকে দেশে কিংবা সময় থেকে সময়ে একই মমতায় চিরন্তন পিতা-সন্তানের বন্ধন।
বিশ শতকের গোড়ার দিকে দিবসটি পালন শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্বে একেকটি দেশ একেক দিন বাবা দিবস পালন করলেও বাংলাদেশসহ এশিয়া ও ইউরোপের অধিকাংশ দেশ জুন মাসের তৃতীয় রোববার পালন করে দিবসটি।
সন্তান সামনে এলে সব ক্লান্তি যেন ভুলে যান বাবা। সন্তানের চাওয়াই যেন তাঁর চাওয়া হয়ে ওঠে।
বাবাকেই আদর্শ মনে করে সন্তানরা। বাবা সন্তানকে শেখান, কীভাবে মাথা উঁচু করে পৃথিবীতে টিকে থাকতে হয়।
বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন ফিরোজ। রাজধানীতে একটু স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘রাতে ফিরে মেয়েকে কোলে নিয়ে বসে থাকি। মেয়ে কোলেই ঘুমিয়ে পড়ে। দুনিয়াতে এই সুখের চেয়ে আর কোনো সুখ বড় নয়।’
বাবা মানেই যেন বটবৃক্ষ! বাবা মানে যেন মসৃণ চলার পথ।
সন্তানের বাবা হওয়ার পর জিল্লু বুঝতে পেরেছেন, বাবার আদর-শাসন, কঠোরতা সবই সন্তানের মঙ্গলের জন্য। বাবা আর দুই সন্তানের ভালোবাসা মাখা জিল্লু নিজেকে সৌভাগ্যবানই মনে করেন।
জিল্লু বলেন, ‘বাবার আদরের কোনো শেষ নেই। বাবার উপলব্ধিরও শেষ নেই।’
জিল্লুর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে-ছেলে যখন এসে ডাক দেয়, খুব আনন্দ লাগে। নাতি এসে যখন দাদা বলে ডাক দেয়, তখনও আনন্দ লাগে।’
বাবা আর সন্তানের সম্পর্ককে কোনো দিবস দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। তার পরও একটি দিনে বিশেষভাবে যদি বাবাকে সম্মান, ভালোবাসা বা কৃতজ্ঞতা জানানো হয়, ক্ষতি কী তাতে?
পৃথিবীর সব বাবা ভালো থাকুন—বাবা দিবসে এমনই প্রার্থনা সবার।