Thu. Sep 18th, 2025
Advertisements

14খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০১৬: ইয়েমেনে ব্যাপক মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন থেকে সৌদি আরবের সদস্য পদ স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
আন্তর্জান্তিক মাবাধিকার সংগঠন দুটি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, সৌদি আরব নিজেদের দেশে ও দেশের বাইরে ‘ব্যাপক মাত্রায়’ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে এবং মানবাধিকার কমিশনে থাকার সুযোগ নিয়ে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
ইয়েমেনের সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক অভিযান বন্ধ না করা পর্যন্ত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনে তাদের সদস্যপদ স্থগিত রাখতে বলেছে সংগঠন দুটি।
প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের দমনের জন্য সৌদি আরব ও তাদের আরব মিত্ররা গত এক বছর ধরে নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। সেখানে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ হাই কমিশনারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের এই যুদ্ধে এ পর্যন্ত অন্তত সাড়ে তিন হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ছয় হাজার দুইশ মানুষ।
“এতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই কাউন্সিলে যোগ দেওয়ার পর দেশে ও দেশের বাইরে সৌদি আরবের মানবাধিকার রেকর্ডের আরও অবনতি হয়েছে,” বলেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের জাতিসংঘ অফিসের প্রধান রিচার্ড বেনেট।
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উপ পরিচালক ফিলিপ বোলোপিনো।
তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য পদে থেকে জবাবদিহিতা এড়িয়ে গিয়ে সৌদি আরব এই বিশ্ব সংস্থার ভাবমূর্তি মারাত্মভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
সংগঠন দুটি বলেছে, তারা ইয়েমেনের বাড়ি-ঘর, মার্কেট, হাসপাতাল, স্কুল, বেসামরিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদের সৌদি আরবের বিমান হামলা নিয়ে ৬৯ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
মানবাধিকার কমিশনে সৌদি আরবের সদস্য পদ স্থগিত করতে হলে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের ভোট প্রয়োজন হবে বলে আরটি ডটকমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট এ বিষয়ে তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই বিবৃতির বিষয়ে সৌদি সরকারের কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাওয়া সৌদি সামরিক জোট বরাবরই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।