Sat. Sep 20th, 2025
Advertisements

42খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০১৬: জেসিকা চাকমা, রাঙ্গামাটি : রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বিলাইছড়িতে আয়না চাকমার অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, শাখা, সহযোগী সংগঠনগুলো। এছাড়াও কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশ নিয়েছে জেলা মহিলা পরিষদসহ আরও কয়েকটি স্থানীয় নারী সংগঠন। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটির সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, নারীনেত্রী টুকু তালুকদার, জেলা পরিষদ সদস্য জেবুন্নেছা রহিম ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলার সভানেত্রী কণিকা বড়–য়া, সাধারণ শামীম আরা বেগম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহিতা দেওয়ান, মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী নাজমা আক্তার প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সারা দেশে যেভাবে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে ঠিক সেভাবে সমানতালে রাঙ্গামাটিতেও একই ধরনের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এতে জনমনে চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে নারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায়। এখন আর কেবল বাঙালি নয়- পাহাড়ি দ্বারা পাহাড়ি নারীরা নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। তারা অবিলম্বে আয়না চাকমার অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, বর্তমানে দেখা যচ্ছে পাহাড়েও নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। একের পর এক পাহাড়ে নারীরা ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু প্রশাসন দোষীদের কোনো কিছু করতে পাচ্ছে না। পাহাড়ে নারী নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণকারীদের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত পরিচয় থাকতে পারে না। তাদেরকে রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা জাতিগত পরিচয় দিয়ে আশ্রয় দিলে সমাজের জন্য মারাত্মত ক্ষতি হবে। এতে পাহাড়ে নারীরা অধিকহারে ধর্ষণের শিকার হবেন।
উল্লেখ্য, ২৯ মে বিলাইছড়ি উপজেলা সদরে আয়না চাকমা নামে এক পাহাড়ি তরুণী অপহরণ ও ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হন। ওই সময় তরুণীটিকে বেদম শারিরীক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বৃহস্পতিবার বিলাইছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার দিন খবর পেয়ে আয়না চাকমাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে বিলাইছড়ি থানা পুলিশ। পরে আয়না চাকমা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে ১৪ জুন মামলার প্রধান আসামি সুনীতিময় চাকমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সুনীতিময় চাকমা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। সুনীতিময় চাকমা একজন স্থানীয় পিসিপি নেতা বলে জানান ওসি।