Tue. Sep 23rd, 2025
Advertisements

16kখোলা বাজার২৪, বুধবার, ৬ জুলাই ২০১৬: ব্যাংকিং তথ্য চুরি হওয়ার কথা ফাঁস হলে তড়িঘড়ি করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয় বলে সে তথ্য হ্যাকারদের খুব বেশি কাজে আসে না। কিন্তু যখন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য চুরি হয়, তখন তা অনেক দিন কাজে লাগাতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা। ব্যক্তিগত ও চিকিৎসাসংক্রান্ত তথ্য দুর্বৃত্তদের হাতে চলে যাওয়ায় ঝুঁকি বেশি।
স্বাস্থ্যসেবা শিল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত একসেঞ্চারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে স্বাস্থ্যসেবা শিল্পের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাবে হ্যাকাররা। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোর খরচ ৩০ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। প্রতি ১৩ রোগীর মধ্যে একজনের তথ্য হ্যাকাররা হাতিয়ে নিতে সক্ষম হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্র“কিনস ইনস্টিটিউশনের এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের প্রতি চারটি তথ্য চুরির ঘটনার মধ্যে একটি অন্তত স্বাস্থ্যসেবা খাতের তথ্য চুরির ঘটনা। ২০০৯ সাল থেকে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ৫০০টি হ্যাকিংয়ের ঘটনায় সাড়ে ১৫ কোটি মার্কিন নাগরিকের স্বাস্থ্যতথ্য অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্র“কিনসের গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যসেবা খাতটি ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে অন্যতম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ, এ-সংক্রান্ত তথ্যগুলো হ্যাকারদের কাছে অধিক মূল্যবান বলে বিবেচিত হয়। এতে ব্যক্তিগত নানা তথ্যের পাশাপাশি রোগীর স্বাস্থ্যগত নানা বিষয়ের তথ্য থাকে।