Tue. Sep 23rd, 2025
Advertisements

2kখোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০১৬: বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট তাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ।
গতকাল ব্রাসেলসে পার্লামেন্টের মিটিং উপস্থিত সকল এমইপিরা একযোগে বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে সংলাপ শুরুর তাগিদ দিয়েছেন।
পার্লামেন্টে উপস্থিত এমইপিরা উদ্বেগের সাথে বলেছেন, বিদ্যমান সংকটময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যদি পরিস্থিতি অনুধাবন করে সংলাপের উদ্যোগ নিয়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নেয়, তাহলে দেশটির অর্থনীতি ও বাণিজ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
কমিশনের সাউথ এশিয়ান ডিভিশনের হেড মারিয়া ক্যাস্টেলো তার বক্তব্যে পার্লামেন্টে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বর্তমানে বাংলাদেশের সম্পর্ক নানা দিক দিয়েই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মতে, দেশটির সকল স্তরের রাজনৈতিক সেক্টরকে সাথে নিয়ে এই সংকট মোকাবেলা করতে হবে। মারিয়ার মতে, রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা ইস্যু যদি উন্নতি না হয় তাহলে এর প্রভাব পড়বে বাণিজ্য ও অর্থনীতিতেও । সরকারকে অবিলম্বে বিরুধী দলের সাথে সংলাপে বসতে হবে।
মারিয়া ক্যাস্টেলো গভীর উদ্বেগের সাথে আরো বলেন, আসন্ন আসিয়ান সম্মেলনে বাংলাদেশের বর্ত্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি জঙ্গি ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে- যা অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গোলিয়াতে ১৫ ও ১৬ জুলাই ২০১৬তে ।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশ সরকারকে ইউনিভার্সাল মূল্যবোধ, ডেমোক্রেসি এবং হিউম্যান রাইটস সমুন্নত রাখার আহবান জানিয়েছে।
জিন ল্যাম্বার্ট এমইপি তার বক্তব্যে বাংলাদেশে এম্বাসাডারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, জরুরী ভিত্তিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই উদ্বেগ বাংলাদেশ সরকারের গোচরীভুত করতে, যাতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসরোধে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অথরিটি সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারেন।
এমইপি আইভান স্টেফানি বর্তমান পরিস্থিতিতে নাগরিকদের ক্র্যাকডাউনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কট্রর পন্থীদের গ্রেপ্তারের নামে গণ-গ্রেপ্তারে বিরোধী নেতা কর্মীদের ৩০০০ মতো গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন।
এতে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন স্টিফেন ওক, ম্যূলার ম্যান। মিটিং এ ইউরোপীয় কমিশনের এক্সটার্ণাল একশন সার্ভিসের সিনিয়র অফিসিয়্যাল, তাদের মধ্যে পাসক্যল আলফাসনো, স্যাম্যুয়েল সাইমন, বেলজিয়ামের বাংলাদেশ দূতাবাসের এম্বাসাডর ইসমত জাহান।