Tue. Sep 23rd, 2025
Advertisements

28খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০১৬: তানোর রাজশাহী: রাজশাহীর তানোরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে বসে আনতে হামিদুর রহমান ও তার স্ত্রী মুক্তা মিলে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে প্রতিপক্ষ আজাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসির মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, বিগত ২০০৬ সালে উপজেলার তানোর গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দীনের পুত্র হাবিবুল্লা সাদাত ও সিলিমপুর গ্রামের মৃত নমির সরদারের পুত্র আজাদ কুয়েতের খালিদ সুলতান ইসা কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ম্যানেজার পদে হাবিবুল্লাহ ও সুপারভাইজার পদে আজাদ দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময়ে কুয়েতে চাকরি দেয়ার নামে সুপারভাইজার আজাদের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের কাছে থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা নিয়েছেন হাবিবুল্লাহ সাদাত। কিšত্ত কোনো লোক পাঠাতে পারেননি আবার টাকাও ফেরত দিতে পারেনি। ফলে আজাদকে বাধ্য হয়ে এসব টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। এদিকে হাবিবুল্লাহ সাদাত ও তার ভাই আব্দুল হাকিমের নামে সিলিমপুর ও বাগধানী মৌজার বিভিন্ন দাগে প্রায় এক একর ৯০ শতক আবাদি জমি রয়েছে। আজাদের ১২ লাখ টাকা ফেরত দিতে না পেরে ২০০৬ সালের ৯ ডিসেম্বর হাবিবুল্লাহ ও হাকিম এসব জমি আজাদের কাছে ১২ লাখ টাকায় (স্ট্যাম) বন্ধক রাখেন। যতদিন তারা আজাদের ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করতে পারবেন না ততোদিন আজাদ এসব জমি ভোগদখল করবেন বলে আজাদের নামে (স্ট্যাম্প) লেখাপড়ায় উল্লৈখ করা হয়। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে আজাদ এসব জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন। এদিকে এই বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে, হামিদুর রহমান চৌধূরী ও মুক্তা বেগম বলেন, তার বাবা ও চাচার কাছে আজাদ কোনো টাকা পাবেন না। কিšত্ত আজাদ জালিয়াতি করে জাল স্ট্যাম্প তৈরী করে তাদের সম্পত্তি জবরদখল করে রেখেছেন।
অপরদিকে আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাবিবুল্লাহ ও তার ভাই হাকিম এসব জমি ১২ লাখ টাকা দেনার জন্য তার কাছে বন্ধক রেখেছেন। তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি এসব জমি ভোগদখল করছেন।
অপরদিকে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর সোমবার বিকেলে হাবিবুল্লাহর জামাই হামিদুর রহমান চৌধূরী ও তার স্ত্রী মুক্তা চাঁন্দুড়িয়া বাজারের আজাদের ওষুধের দোকানে গিয়ে আজাদের কাছে জমি ফেরত দেয়ার দাবি করেন। এ সময় আজাদ তার পাওনা ১২ লাখ টাকা তাদের কাছে ফেরত চাই। কিšত্ত তারা এসব টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। অথচ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজাদকে ফাঁসিয়ে বসা আনার জন্য মুক্তা বাদি হয়ে আজাদসহ দুই জনকে আসামি করে তানোর থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে এই মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার সাধারণের মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।