খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০১৬: ভালোবাসার মানুষটির পরিবারের অনুমতি না নিয়েই তাঁর হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন এক যুবক। আর এর পরিণাম হলো ভয়ঙ্কর। ধরে এনে নাক-কান কেটে দেওয়া হলো ওই যুবকের। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ঝাং জেলায় গত সপ্তাহে ঘটনাটি ঘটে।
ডন অনলাইন জানায়, ২০ বছরের সামিনার (ছদ্মনাম) সঙ্গে মোস্তাকের (ছদ্মনাম) প্রেমের সম্পর্ক ছিল চার বছরের। সম্পর্কে খালাতো ভাইবোন এই জুটির ভালোবাসা মেনে নেয়নি সামিনার পরিবার। এরপরই দুজনে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
গত মাসে বাড়ি থেকে পালিয়ে পাশের জেলায় এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেন এই জুটি। একপর্যায়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যের সাহায্যে সামিনাকে ফিরিয়ে আনা হয় বাড়িতে। আর মোস্তাককে বেধড়ক মারধর করে তাড়িয়ে দেয় সামিনার পরিবার।
কিন্তু প্রতিশোধের পালা যে তখনো শেষ হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, সামিনার ভাইরা এরপর মোস্তাককে গ্রামে ফিরে আসতে বিভিন্ন হুমকি দেয়। মোস্তাককে আসতে বাধ্য করতে চাপ দেওয়া হয় সামিনাকেও।
পরিবারের চাপ সহ্য করতে না পেরে গত সোমবার মোস্তাককে ফোন করেন সামিনা। জানান, অভিভাবকরা দুজনের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন। তাঁরা পারিবারিকভাবে বিয়ে দিতেও রাজি হয়েছেন। এরপরই সামিনার টানে ছুটে আসেন মুস্তাক। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেননি তাঁর সঙ্গে কী হতে চলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে মোস্তাক গামে ফিরে আসতেই তাঁকে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর জনসম্মুখে ছুরি দিয়ে তাঁর নাক ও কান কেটে নেন সামিনার বড় ভাই। এ সময় মোস্তাকের পরিবারের অন্যান্য সদস্যকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এরপর পুলিশ খবর পেয়ে মোস্তাককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে। যদিও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ওই যুবক।